‘চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তারে বিশৃঙ্খলার পেছনে দেশের ভেতরে-বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পেছনে দেশের ভেতরে-বাইরে থেকে ইন্ধন থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে তিনি সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'ইসকন সমর্থকদের এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে দেশের বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে। এ ছাড়া, দেশের ভেতরে বিভিন্ন পার্টি আছে—তাদেরও ইন্ধন থাকতে পারে। এমনকি যাদেরকে ব্যান (নিষিদ্ধ) করে দেওয়া হয়েছে, তাদেরও কিছুটা ইন্ধন থাকতে পারে। তবে কারও ইন্ধন পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ঢাকায় দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং একটা ফলপ্রসূ সমাধান হয়েছে। ছাত্ররা আমাদেরই ভাই, ছেলে ও স্বজন, তাদের প্রতি খুব একটা কঠোর হওয়া যাবে না। তাদেরকে বোঝাতে হবে। তারা খুবই বুদ্ধিমান, এই জন্য তারা আজ বুঝতে পেরেছে এবং নিজেরা নিজেদের মধ্যেই বিষয়টি সমাধান করেছে।'

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিহিংসামূলক মামলা হচ্ছে, এই ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহাঙ্গীর বলেন, 'এটা একেবারে সত্যি কথা, অনেক ভুয়া মামলা হয়েছে। ভুয়া মামলা দিয়ে অনেকে টাকা রোজগারও করেছে। কিন্তু ভুয়া মামলায় নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

তিনি জানান, এই ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার ও লিগ্যাল এইড একজন অফিসারকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা এটা দেখবে—কোনটা গ্রহণযোগ্য (মামলা), কোনটা অগ্রহণযোগ্য।

যারা ভুয়া মামলা করবে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, '৬, ৭ ও ৮ আগস্টের চেয়ে দেশের অবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তবে সব কিছুর একসঙ্গে উন্নতি হবে না। আরও উন্নতি হওয়ার সুযোগ আছে। এই জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।'

কমিউনিটি পুলিশিং সেবা শুরুর ব্যাপারে তিনি বলেন, 'ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র, অবসরপ্রাপ্ত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের দিয়ে কমিউনিটি পুলিশ গঠন করা হবে। পরে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে কমিউনিটি পুলিশ গঠন করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago