আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা করল কারা

বাংলাদেশে ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছিলেন হিন্দু সনাতন নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য সংগঠনের কর্মীরা।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার বেলোনিয়া ও আগরতলায় তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রতিবাদ জানান বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ সোমবারও ত্রিপুরায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়। হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, দুপুরে হিন্দু সংগ্রাম সমিতির ব্যানারে আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহযোগী সংগঠন হিন্দু সংগ্রাম সমিতির ত্রিপুরার সেক্রেটারি শঙ্কর রায় সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দিরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং লুটপাট করা হচ্ছে। সম্প্রতি, ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।'

এদিকে, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন 'রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ' বা আরএসএসের একদল কর্মীও বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল পরে বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি প্রতিবাদলিপি দিতে সহকারী হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে মিশন কার্যালয়ে প্রবেশ করে বলে শঙ্কর রায় জানান।

এসময় ৫০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীদের একটি দল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বাংলাদেশ মিশনের ভেতর প্রবেশ করে বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে। তারা ভেতরে ঢুকে হামলা করে মিশন প্রাঙ্গনের কিছু সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে বলে জানা গেছে।

এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন প্রাঙ্গণে একই কায়দায় সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিল। 

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ এক বিবৃতিতে বলেছে যে, ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলার একটা ধারা তৈরি হয়েছে। শিগগির এ হামলার ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে জোরপূর্বক প্রবেশের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার কার্যালয় কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিত নয়। 

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বিভিন্ন ডেপুটি ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ভারত সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Khaleda Zia, accompanied by her two daughters-in-law Zubaida Rahman and Syeda Sharmila Rahman, is now on way to her Gulshan residence

2h ago