আটক ৭৯ জেলেসহ বাংলাদেশি ২ ট্রলার ভারতের উড়িষ্যায়

ভারতীয় কোস্টগার্ড, উড়িষ্যা, প্যারাদ্বীপ, বঙ্গোপসাগর, ট্রলার,
ছবি ভারতীয় কোস্টগার্ডের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক বাংলাদেশি দুই মাছ ধরার ট্রলার উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্সে (সাবেক টুইটার) এ সংক্রান্ত একটি আপডেট পোস্ট করা হয়।

ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, 'ভারতীয় জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার কারণে ৭৮ জেলেসহ দুটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার জব্দ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। আইনি ব্যবস্থা নিতে জব্দ হওয়া ট্রলার দুটি প্যারাদ্বীপে আনা হয়েছে।'

ওই পোস্টে তিনটি ছবিও যোগ করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড।

একটি ছবিতে দেখা গেছে, ট্রলারের ডেকের ওপর বেশ কজন নাবিক মাথার পেছনে হাত দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। তাদের পেছনে সশস্ত্র অবস্থায় ভারতীয় কোস্ট গার্ডের সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন।

আরেক ছবিতে দেখা গেছে, সাগরে ট্রলার দুটি পাশাপাশি অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অন্য ছবিতে দেখা গেছে, একটি ট্রলার জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে।

ট্রলার দুটির মালিক প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য, এফভি মেঘনা ৫ ও এফভি লায়লা ২ বাংলাদেশের জলসীমায় খুলনার হিরণ পয়েন্টে মাছ ধরছিল। ওই অবস্থায় সোমবার সকালে ভারতীয় কোস্টগার্ড জব্দ করে। এফভি মেঘনা ৫-এর মালিক প্রতিষ্ঠান সি অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেড ও এফভি লায়লা ২-এর মালিক প্রতিষ্ঠান হলো এস আর ফিশিং লিমিটেড।

ট্রলার দুটি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মালিক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

সি অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জব্দের সময় ট্রলার দুটি বাংলাদেশের জলসীমার কাছাকাছিই ছিল।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ট্রলার এফবি মেঘনা ৫-এর মাস্টার রাহুল বিশ্বাস আমাদের আরেকটি ট্রলারের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন।'

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মো. মাকসুদ আলম গতকাল বলেছিলেন, ট্রলার দুটি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা ভারতীয় কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago