পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়ার সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন

সফর রাজ হোসেন

পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র না দেওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করবে পুলিশ সংস্কার কমিশন।

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন বলেন, প্রাণহানি এড়াতে ইউরোপীয় দেশগুলোর নির্ধারিত একটি মানদণ্ড আছে। সেই অনুযায়ী প্রাণঘাতী নয় শুধুমাত্র এমন অস্ত্র পুলিশকে দিতে সুপারিশ করবেন তারা।

তিনি বলেন, একজন সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নিয়ে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে তা নিয়ে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের নির্দেশনা আছে। সেই আলোকে সংস্কার কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য নির্দেশনা সুপারিশ করবে।

৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে গত ৩ অক্টোবর পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের প্রধান জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা প্রতিবেদন জমা দিতে প্রস্তুত আছেন। এক্ষেত্রে সামান্য বিলম্ব হলেও হতে পারে।

কমিশনের কাজের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রাণহানির মতো আর যেন ট্রাজেডি না হয় সেজন্য পুলিশকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করা তাদের মূল লক্ষ্য।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির উপর রাজনৈতিক প্রভাবের সমস্যার কথা স্বীকার করে, অবসরপ্রাপ্ত এই সচিব বলেন, যখন একটি রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন পুলিশ সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার প্রবণতা থাকে। পুরো বিষয়টি অনেক জটিল। এখানে শুধু পুলিশকে আলাদাভাবে দেখা ঠিক হবে না।

পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার সুপারিশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'পুরো বিষয়ে সুপারিশ থাকবে, যা সংক্ষেপে আমি এককথায় বলতে পারব না।'

আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরের শাসনামলে পুলিশকে ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। দলের অনুগত কর্মীদের মতো কাজ করেন কিছু পুলিশ কর্মকর্তা। তাদের জন্য লোভনীয় পোস্টিং, যোগ্যদের পাশ কাটিয়ে পদোন্নতি ও দুর্নীতির সুযোগ করে দেওয়া হয়। জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভের সময় নির্বিচারে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে পুলিশ, যার ফলে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।

অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে দুর্নীতি কমিয়ে আনার ওপর জোর দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, 'আইন প্রয়োগকারীরা অন্যায় কাজের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেলে অন্যরাও অনুরূপ অসদাচরণে জড়িত হওয়া থেকে বিরত থাকবে।'

তিনি উন্নত গণতন্ত্রের অনুশীলনের সঙ্গে তুলনা করে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজ এবং সাধারণ জনগণের ভূমিকার প্রয়োজনের কথাও তুলে ধরেন।

(সংক্ষেপিত, বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে)

Comments

The Daily Star  | English

China’s great green march across the globe

The Middle Kingdom wants to control the global clean-tech sector. Can it save the planet, too?

44m ago