সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য নিরসন ও সংস্কারের দাবি

সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য নিরসন ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদ।
তাদের ভাষ্য, বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান বৈষম্য এবং অসামঞ্জস্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বঞ্চনা ও অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিচিতি, পদোন্নতি, আর্থিক সুবিধা, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ এবং কর্মসম্পাদনে বৈষম্য স্পষ্ট।
তারা আরও বলেন, নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা একই গ্রেডে থেকেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ ছাড়া, পদোন্নতির অভাব, প্রেষণভিত্তিক নিয়োগ এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তাদের পেশাগত কর্মস্পৃহা এবং দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শনিবার বিকেলে নবম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডভুক্ত গণকর্মচারীরা এসব কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়কের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদস্য রাশেদুল ইসলাম।
এ সময় বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সংস্কারের আটটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
পাশাপাশি উপযুক্ত সমাধানের জন্য বৈষম্যমূলক ক্যাডার, নন-ক্যাডার বিভাজন বিলুপ্ত করে গ্রেডভিত্তিক পরিচিতি ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
বক্তারা বলেন, নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। পদোন্নতি এবং পদায়নে মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতারভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং একটি স্বাধীন সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা কমিশন গঠন জরুরি।
এ ছাড়া, স্থায়ী পে-কমিশন গঠন করে নিয়মিত বেতন কাঠামো সমন্বয় ও আর্থিক বৈষম্য দূর করার দাবি বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদের।
তারা বলেন, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সব কর্মকর্তার জন্য উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। বৈষম্য নিরসনে এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করলে প্রশাসনিক কাঠামোতে সামগ্রিক গতিশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, যা জনসেবায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Comments