ভোরের কাগজ পত্রিকা বন্ধ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকে শুরু হওয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক ভোরের কাগজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার রাজধানীর মালিবাগে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ের ফটকে সাঁটানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে 'মালিকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত' কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকারের সই করা নোটিশে আরও বলা হয়, 'ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।'

প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ও নিয়োগের তারিখ থেকে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে ভোরের কাগজের বিএনপিপন্থীসহ কয়েকজন সাংবাদিক বিক্ষোভ করছিলেন। এর মধ্যে এই সিদ্ধান্ত এলো।

তবে পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণ চালু আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পত্রিকাটির একজন সাংবাদিক বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে বিএনপি সমর্থক একদল সাংবাদিক নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছিলেন। ভোরের কাগজের সম্পাদক কারারুদ্ধ পরিস্থিত আরও জটিল হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, ভোরের কাগজের বিএনপিপন্থীসহ কয়েকজন সাংবাদিক বাইরে থেকে আসা বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের সঙ্গে সম্প্রতি আন্দোলন শুরু করেন।

রোববার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ও বহিরাগতদের নিয়ে একদল সাংবাদিক পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ আজ বন্ধের নোটিশ দেয়, যোগ করেন তিনি।

ভোরের কাগজের একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন, কোনো কর্মচারীর বেতন বকেয়া ছিল না। কিন্তু নিয়োগকৃত কিছু সাংবাদিক চাকরির শুরু থেকেই অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন দাবি করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।

ভোরের কাগজের কোনো সাংবাদিক প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে প্রথম এই শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিকটি প্রকাশিত হয়।

পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন নাঈমুল ইসলাম খান। তার পরে ছিলেন মতিউর রহমান, বেনজীর আহমেদ, আবেদ খান এবং বর্তমান সম্পাদক কারারুদ্ধ শ্যামল দত্ত।

Comments

The Daily Star  | English

Sadarghat launch terminal: Once a thriving riverport now barely afloat

As travellers increasingly opt for road-based transport, the future of the country's historic inland waterway network and its century-old launch industry hangs in the balance.

10h ago