গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দাবি মেনে নিতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান, গণঅভ্যুত্থানে আহত, আল্টিমেটাম,
মিরপুর রোডের শিশুমেলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। ছবি: প্রবীর দাশ

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর মিরপুর রোডের শিশুমেলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।

তারা বলেছেন, বিকেল ৪টার মধ্যে সরকারের কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না। ৪টার মধ্যে যদি তাদের লিখিত স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, তাহলে সচিবালয় ঘেরাও করবেন।

মিরপুর সড়কে বিক্ষোভরত মো. সাব্বির বলেন, 'যদি কেউ না আসে, দাবি না মানে­- তাহলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম। এরপর আমরা দাবি আদায়ে সচিবালয়ের দিকে যাব।'

একই কথা বলেন সাভার বিরুলিয়া থেকে আসা কামরুল হাসান। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে তিনি সাভারের সিআরপিতে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান। এ সময় কামরুল হাসানের গলায় 'হয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, না হয় আত্মহত্যা!' লেখা পোস্টার ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যদি আমাদের স্বীকৃতি না দেওয়া হয়, আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবো। আর এই মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র দায়ী থাকবে। রাষ্ট্রের জন্য আমরা বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছি। আমার এই মৃত্যুর জন্য এই রাষ্ট্রযন্ত্র দায়ী থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের মতো আহতরা গতকাল সারা রাত রাস্তায় থেকেছি। গত দুদিন পানি ছাড়া কিছু খাইনি। উপদেষ্টারা ক্ষমতায় গিয়ে আহতদের কথা ভুলে গেছেন।'

এর আগে, আজ সকালে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। এতে এসব এলাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago