সচিবালয়ে গেছে আন্দোলনকারী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল

শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আন্দোলনকারী ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। বিকেল ৪টায় তোলা ছবি। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

শূন্যপদে নিয়োগসহ চার দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গেছে।

আজ রোববার বিকেল ৩টার পর শাহবাগ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে নিয়ে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আজহারুল হক রামিম, মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহমদ উল্লাহ মানসুর ও শামীম মিঞা।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে শাহবাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী।

তুহিন ফারাবী শিক্ষার্থীদের বলেন, উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের বিষয়ে আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সার্কুলার হবে। আপনাদের দাবির বিষয়ে কথা বলতে একটি প্রতিনিধি দলকে আমি নিয়ে যেতে এসেছি।

তখন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সদস্য শামীম মিঞা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে কথা বলব। সেখানের যেসব সিদ্ধান্ত হবে তা আমরা ফিরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জানাব। তারপর আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব; আমরা চলে যাব, নাকি থাকব।

এর আগে আজ সকাল ১১টার দিকে শাহবাগে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী লংমার্চ করে এসে সড়কে অবস্থান নেন।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী ও প্রতিবেদক জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এসময় টিএসসি থেকে শাহবাগে আসার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতির সাত কর্মদিবস শেষ হওয়ার পরও দাবি পূরণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

আন্দোলনকারীদের তাদের অভিযোগ, প্রায় ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে তাদের কোনো সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নাই। সেই সঙ্গে তাদের উচ্চ শিক্ষারও কোনো সুযোগ নেই। অন্যান্য চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও তাদের তা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago