‘দেশের সব নাগরিককে সুরক্ষা দেবো, কে কোন ধর্মে বিশ্বাস করে সেটা বিবেচ্য নয়’

‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সব নাগরিককে সুরক্ষা দেবো। কে কোন ধর্মে বিশ্বাস করে সেটা বিবেচ্য নয়।

আজ রোববার সকালে নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে 'জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫' এর উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে এসে উপনীত হয়েছি, যেখানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাটাই একটা মস্ত বড় ইস্যু। এখানে কী করণীয় এটাই আমাদের এক নম্বর বিবেচ্য বিষয়। এতে যাতে আমরা বিফল না হই।'

ডিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে কী করতে হবে, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চেইন অব কমান্ড কীভাবে যাবে, কীভাবে কো-অরডিনেশন হবে এই সম্মেলনে এসব নিয়ে আলোচনা হোক। কারও বোঝাবুঝির মধ্যে যেন কোনো গলদ না থাকে। কেননা আমরা সবাই মিলে সরকার, এখান থেকে আমাদের উদ্ধার হতেই হবে।'

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'নারী ও শিশুদের রক্ষা একটি বিশেষ দায়িত্ব। সংখ্যালঘুদের রক্ষা মস্ত বড় দায়িত্ব। কারণ এর কারণেই সারা দুনিয়া নজর রাখে আমাদের ওপর। আমরা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী ধরনের ব্যবহার করছি। একটা ছোট্ট ঘটনা সারা দুনিয়াতে বিশাল হয়ে যায়। আমি সেই ভয়ের কারণে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কথা বলছি না। এটা আমাদের দায়িত্ব। সরকারের দায়িত্ব হলো সকল নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।'

ড. ইউনূস বলেন, 'আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও বলেছি, আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে দাবি করবেন না। দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করবেন। সংবিধান আপনাকে সেই অধিকার দিয়েছে।'

'সরকারের টিম হিসেবে আমাদের এই নিশ্চয়তা দেওয়া দরকার যে, দেশের সকল নাগরিককে আমরা সুরক্ষা দেব। কে কোন ধর্মে বিশ্বাস করে সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। সে এ দেশের নাগরিক। সে হিসেবে তাকে আমরা রক্ষা করব এবং এই সরকার তারও সরকার। কাজেই আমি তাদের সেবা করতে প্রস্তুত', বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago