যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন আজ, ৩ মিনিটে ট্রেন পার হবে নদী

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা রেল সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে আজ। চার দশমিক আট কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের সেতুটির ফলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগে সময় সাশ্রয় হবে।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদুত সাঈদা শিনইচি ও জাইকার দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক আইটিও তেরুইউকি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন যমুনা রেলসেতু নির্মান প্রকল্পের পরিচালক অঅল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান।
কর্মসূচী অনুযায়ী যমুনা রেলসেতু পূর্ব ইব্রাইহমাবাদ স্টেশন থেকে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সায়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্ভোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবেন এবং ১১টা ৪০ মিনিটে সায়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে দুপুর ১২টায় সেতুর পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে ফিরে আসবেন।
রেল সূত্র জানায়, উদ্ভোধনের একদিন পর অর্থাৎ পরদিন ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) কার্যকর করা হবে। এই সেতু ব্যবহার করে চলা ট্রেনের আসনভেদে ভাড়া বাড়বে ৪৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।
নতুন সেতু দিয়ে যমুনা পার হতে সময় লাগবে দুই-তিন মিনিট। আগে যমুনা সড়কসেতু পার হতে ট্রেনের সময় লাগত ২০ থেকে ২৫ মিনিট। নতুন সেতু দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাতায়াতের সময় কমবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের রেলসেতুরটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয় এরপর ২০২১ সালের মার্চে।
প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা।
Comments