অবশেষে সরকারি চাকরিতে কোটা পর্যালোচনায় কমিটি

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রয়োগ পদ্ধতির পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রনয়নে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
কমিটির প্রধান হবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি) এবং সদস্যসচিব হবেন উপসচিব (বিধি-১)।
কমিটির অপর সদস্যরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সরকারি কর্মকমিশন ও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন করে প্রতিনিধি।
কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস আক্রমণ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
একপর্যায়ে কোটা আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগেই ২৩ জুলাই আপিল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতে সরকার কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে সরাসরি নিয়োগে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি পদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের কোনো আইন বিধিতে তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে কোনো সংজ্ঞা নির্ধারণ করা নেই। ফলে চাকরির নিয়োগে তৃতীয় লিঙ্গের কোটা কীভাবে প্রয়োগ হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা নেই।
অন্যদিকে আদালতের রায়ে নির্ধারিত কোটার হার নিয়ে প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ অনেকে আপত্তি তুলেছেন। জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্টরাও এসব আপত্তিকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন, কিন্তু আদালতের রায়ের কারণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল না।
এবার সরকারের উচ্চস্তর থেকে কোটা পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়ায় উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
Comments