ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন কমিশনের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণের অবনতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। একইসঙ্গে শিখ নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে কমিশন।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে কমিশন এ সুপারিশ করেছে বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতিতে বিভিন্ন দেশের বিষয়ে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থার অবনতি হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা বেড়েছে বলে অভিযোগ আছে।

তবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করতে সহিংসতার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হত্যার যেসব খবর পাওয়া গেছে সেগুলোর ধর্মীয় ইস্যু নয়, বরং রাজনৈতিক বিরোধের ঘটনা।

ভারত প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও তাদের প্রতি বৈষম্য বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে।

গত বছর দেশটিতে নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি 'মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষাত্মক বক্তব্য এবং বিভ্রান্তিকর' তথ্য প্রচার করেছিল বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য ভারতকে 'বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ' হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে ইউএসসিআইআরএফের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি দেশটির সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদব এবং সংস্থা হিসেবে 'র' এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া, ভারতের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি পর্যালোচনার সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

তবে, এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগের কারণে ভারতের সঙ্গে ওয়াশিংটন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

অপরদিকে, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সরকারের সঙ্গে কাজ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন কমিশন।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago