ফুটপাতেও জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাত পোহালেই ঈদ। রাজধানীর শপিং-মলগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতেও জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা।

রোববার সন্ধ্যায় পর মিরপুর ১, মিরপুর ১০, ১১ ও মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশন ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতে দাঁড়ানোর জায়গা নেই।

পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরই ভিড় বেড়েছে ফুটপাতে। ক্রেতাদের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের মানুষ।

মিরপুর ১০ নম্বরে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেনের সঙ্গে। ৮০০ টাকা পকেটে নিয়ে সে বাজারে এসেছে শার্ট আর প্যান্ট কিনবে বলে।

ফয়সাল জানায়, তার বাবা রিকশা চালান।

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

'আব্বা টাকা ম্যানেজ করতে পারেনি জন্য আগে শার্ট-প্যান্ট কেনা হয়নি। আরও একটা রোজা হবে মনে করছিলাম। আগামীকাল কেনার কথা ছিল। চাঁদ ওঠার পর আব্বা এসে ৬০০ টাকা দিছে, আমি আরও ২০০ টাকা হাওলাত (ঋণ) নিয়ে আসছি। এখন শেষ সময়, জিনিসের দামও কম, এই টাকায় শার্ট-প্যান্ট হয়ে যাবে,' বলে ফয়সাল।

মিরপুর ১ নম্বরে জুতার দোকান সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী কবীর হোসেন। তিনি বলেন, 'যত ভিড় দেখা যাচ্ছে, বিক্রি তত বেশি না। সবাই আসে, দর দাম করে, কম দামে কেনার চেষ্টা করে। একজন ক্রেতার সঙ্গে তিনজন আসে, সব দোকান ঘুরে তারপর হয়তো কেনে।'

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

আমিন বাজার থেকে এসেছেন অটোরিকশাচালক খায়রুল ইসলাম। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, গত সপ্তাহে ছেলে-মেয়েদের জামা-কাপড় কিনে দিয়েছেন। স্ত্রীর জন্য ও তার নিজের জন্য কিছু কিনতে পারেননি। আজ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আয় হওয়ায় শার্ট কিনতে এসেছেন।

'৩০০ টাকা পকেটে আছে। বউ বললো, তোমার শার্ট ছিঁড়ে গেছে, তুমি একটা শার্ট কিনে নাও। ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে শার্ট পেলে কিনব,' বলেন খায়রুল।

Comments

The Daily Star  | English

US takes in $87b from tariffs in first half of 2025

More than $87 billion in tariff revenue collected by end of June, surpassing $79 billion total for all of 2024

44m ago