মাদ্রাসাগুলোতে প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য কাতার চ্যারিটির সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: বাসস

বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা দিতে কাতার চ্যারিটির সহায়তা কামনা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বাংলাদেশে কাতারের সংস্থার চলমান মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।

এর মধ্যে রয়েছে এতিমদের জন্য স্পনসরশিপ প্রোগ্রাম এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি বিতরণ।

প্রধান উপদেষ্টা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতার মতো উদীয়মান প্রযুক্তি শেখার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আগ্রহের ওপর জোর দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনো সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাব।'

তিনি বলেন, কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশি মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে এবং তাদের পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তি বিষয়ক পাঠ যুক্ত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে।

'মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত শিখতে পারে। তারা দ্রুত এই দক্ষতাগুলো অর্জন করবে,' বলেন তিনি।

কাতার চ্যারিটি প্রধান উল্লেখ করেন, সংস্থাটি ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মাদ্রাসাকে দক্ষতা এবং জীবিকা নির্বাহের কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে।

তিনি আশ্বাস দেন যে, প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

আলোচনাকালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

ড. ইউনূস কাতার চ্যারিটিকে তাদের এলপিজি বিতরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার এবং শরণার্থী জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।

নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের মেয়েদের, বিশেষত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।

এই দুই নেতা বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের প্রভাবশালী ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।

দারিদ্র্য মোকাবিলায় প্রচারণা ও কার্যকারিতা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব অন্বেষণ করতে কাতার চ্যারিটিকে উৎসাহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

8h ago