বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সুযোগ রেখে আইন সংশোধন, ফলকার তুর্কের উদ্বেগ

ছবি: রয়টার্স

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সুযোগ রেখে আইন সংশোধনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক।

সোমবার জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেছেন, 'রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন আনা এবং এ সংক্রন্ত সব কর্মকাণ্ড নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এটা অন্যায্যভাবে সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমবেত হওয়ার স্বাধীনতাকে সীমিত করবে।'

তবে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের মাধ্যমে অগ্রগতি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমি সংস্কারের ক্ষেত্রে অর্থবহ অগ্রগতির আহ্বান জানাচ্ছি, যেন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা যায়।'

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের উৎখাতের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার গত ১২ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে বিচারের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করা হয়।

ফলকার তুর্ক তার বক্তব্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের ওপর ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব সম্পর্কেও কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বিশ্বের অনেক দরিদ্র মানুষ আরও পিছিয়ে পড়ছে, তাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য এবং পর্যাপ্ত জীবনযাত্রার মান আক্রমণের মুখে। নিম্ন আয়ের অর্ধেকের বেশি দেশ বর্তমানে ঋণ সংকটে রয়েছে বা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।'

'সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে সুনামির মতো আঘাত করবে। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামসহ রপ্তানি খাতের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে এর ধংসাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। উচ্চ শুল্কের কারণে অনেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাদ্য বঞ্চিত হবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

10h ago