মাইলস্টোন কলেজ ট্র্যাজেডি

নিভে গেল তানভীর-হুমায়রার জীবন, টাঙ্গাইলের দুই পরিবারে মাতম

তানভীর আহমেদ ও মেহনাজ আক্তার হুমায়রা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইলের দুই শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ (১৪) ও মেহনাজ আক্তার হুমায়রা (৯)।

অষ্টম ও তৃতীয় শ্রেণির এই দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরে তাদের গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর ও সখীপুরে শোকের মাতম চলছে। আজ সকালে গ্রামের বাড়ির কবস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। উন্নত ভবিষ্যতের আশায় ঢাকায় এসেও সন্তানদের রক্ষা করতে না পারায় পরিবারে চলছে আহাজারি।

ছেলেকে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে কয়েক বছর আগে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান মির্জাপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া। কিন্তু সোমবারের দুর্ঘটনা তার সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। দগ্ধ হয়ে মারা গেছে তার বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদ।

তানভীরের চাচাতো ভাই সজিব মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, স্কুল ছুটির পর ছোট ভাই তাশরিফ আহমেদ বাসায় ফিরলেও কোচিং করার জন্য তানভীর স্কুলেই অপেক্ষা করছিল। ঠিক তখনই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং আগুনে তার শরীর ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম রাতে বলেন, দাফনের জন্য মধ্যরাতে তানভীরের মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হন।

অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মেহনাজ আক্তার হুমায়রা সখীপুর উপজেলার হতেয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র সন্তান। দেলোয়ার হোসেন মাইলস্টোন কলেজেরই একজন প্রভাষক। পরিবার নিয়ে উত্তরায় বসবাস করেন তিনি।

দেলোয়ারের চাচাতো ভাই কাওসার আহমেদ বলেন, বাবার সঙ্গে হুমায়রা প্রায়ই গ্রামে বেড়াতে আসত। তার মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রাম স্তব্ধ। হুমায়রাকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, তিনি স্থানীয়দের মাধ্যমে হুমায়রার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

CA likely to announce election date within 4-5 days: Mostafa Jamal

He made the remarks after a meeting between Prof Yunus and leaders of 12 political parties at the state guesthouse Jamuna

1h ago