বাংলাদেশে ৩ কারখানা স্থাপন করবে হানডা, ২৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির আশা

হংকংভিত্তিক টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান হানডা ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানি বাংলাদেশে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে হানডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হান চুন এই বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা জানান।

হানডা শুরুতে বাংলাদেশের বস্ত্রখাতে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিল। গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জোরালো সহযোগিতার কারণে হানডা তার  বিনিয়োগ পরিকল্পনা ২৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।

কোম্পানিটি এখন বাংলাদেশে তিনটি কারখানা স্থাপন করবে—দুটি গার্মেন্টস প্রসেসিং এবং একটি নিটিং ও ডায়িং ইউনিট—যার মাধ্যমে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হান চুন বলেন, 'বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, যেমন বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), বেজা (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) এবং বেপজার (বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা আমাদের প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চাই।'

বিডা, বেজা ও বেপজা কর্মকর্তারা বলেন, এটি বাংলাদেশের বস্ত্রখাতে অন্যতম বৃহৎ একক চীনা বিনিয়োগ।

বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে আপনি চীনা বিনিয়োগের নেতৃত্ব নিন এবং অন্য চীনা বিনিয়োগকারীদেরও এখানে আসার জন্য উৎসাহিত করুন।'

বাংলাদেশি ডিজাইনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যাতে তারা ক্রেতাদের পছন্দ-রুচি বুঝে কাজ করতে পারেন।

হান চুন প্রধান উপদেষ্টার কাছে মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপনের জন্য কারখানার একটি নকশা উপস্থাপন করেন। সেটি দেখে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'এটি আমার কাছে একটি চমৎকার চিত্রকলার মতো লাগছে।'

প্রথম ধাপে ৮০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে মীরসরাইয়ে গার্মেন্টস কারখানার জমি ইজারার চুক্তি বুধবার স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপের জমি ও অন্যান্য সুবিধাদি চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান, যা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও হানডা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট হেং জেলি উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

3h ago