শাহবাগে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস

রাজধানীর শাহবাগে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিলে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
আজ দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে মিছিল শুরু করেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে মিছিলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকায়। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করা হয়।
পুলিশি বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা হোটেলের সামনের সড়কে বসে পড়লে পুলিশ তাদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বুয়েট) বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি আদায়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা যায়।
তাদের তিনটি দাবি হলো—ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না; দশম গ্রেড (টেকনিক্যাল) বা উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে ডিপ্লোমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করে, ওই পদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নির্ধারণ করে, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে এবং সর্বশেষ দাবি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ব্যতিত কেউ নামের পাশে 'ইঞ্জিনিয়ার' পদবি ব্যবহার করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার 'ঢাকা চলো' কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আজ তারা শাহবাগে জড়ো হন। এর আগেও একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আসছিলেন।
Comments