ডিএমপির ‘এআই জেনারেটেড’ দাবির বিপরীতে ডেইলি স্টারের ৬ ছবি

ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় এক বিক্ষোভকারীর মুখ চেপে ধরার ছবিটি 'এআই জেনারেটেড'।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলমকে নিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এক ছাত্রের মুখ চেপে ধরার একটি ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।'

'কে বা কারা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে উক্ত ছবিটি তৈরি করে জনমনে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। ছবিটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বুঝা যায় তা সম্পূর্ণ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এবং বাস্তবতা বিবর্জিত,' উল্লেখ করেছে ডিএমপি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউজপোর্টাল ডিএমপি নিউজ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে।

তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুরে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ লাঠিপেটা করে, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এবং জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীদের মতে, এতে কমপক্ষে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আট পুলিশ সদস্য।
সে সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী অর্কিড চাকমা।

ঘটনার বর্ণনা করে তিনি বলেন, 'অন্য আলোকচিত্রীদের সঙ্গে আমি শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মাঝখানে সড়ক বিভাজনের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম।'

'বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে একদল পুলিশ মিন্টো রোড থেকে এসে শিক্ষার্থীদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের দিকে কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের দিকে সরিয়ে দেয়। তখনই এক বিক্ষোভকারীকে পুলিশ ধরে ফেলে। কয়েকজন আলোকচিত্রী সেই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। পরে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়,' বলেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা যাচাই করে দেখেছি, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।'
বিভিন্ন গণমাধ্যমের আলোকচিত্রীদের সেই ছবি তুলেছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ওটা তাদের ব্যাপার। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।'
Comments