রাজনীতি

সরকারদলের নেতারা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারদলের নেতারা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাদের সম্পদের হিসাব নেই। টাকা রাখার জায়গা নেই, বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, জেলারের নেতারা হয়েছেন শতকোটি টাকা মালিক। পূর্বপাকিস্তান আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছিল, আমরা স্বাধীন হলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি।
দুপুরে জামালপুরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। ছবি: স্টার

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারদলের নেতারা একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ। তাদের সম্পদের হিসাব নেই। টাকা রাখার জায়গা নেই, বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, জেলারের নেতারা হয়েছেন শতকোটি টাকা মালিক। পূর্বপাকিস্তান আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছিল, আমরা স্বাধীন হলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি।

আজ শনিবার দুপুরে জামালপুরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, 'হাওয়া ভবনের দুর্নীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু, আওয়ামী লীগ কথার বরখেলাপ করেছে। প্রথমে তারা জাতীয় পার্টিকে অঙ্গ সংগঠন মনে করত, পরে চাকর ভাবত। আর এখন মনে করে কৃতদাস।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা সবই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমরা কারো নিয়ন্ত্রণ হতে চাই না। বন্ধুত্বের কথা বললে চিন্তা করব, কিন্তু কারো কৃতদাস হব না। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে।'

জিএম কাদের বলেন, 'আমি প্রথম যখন বলেছিলাম বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে, সরকার দেউলিয়া হচ্ছে—তখন শুনে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। এখন সরকারের উপদেষ্টা বলছে টাকার অভাবে গ্যাস কিনতে পারবে না। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে রক্ত পানি করে টাকা পাঠায়, আর আমরা আলোকসজ্জা করি। যেখানেই যাই শুধু দেখি ফুর্তি আর ফুর্তি। দেখে মনে হয় সরকার ১২ মাসে ১০০ পার্বণ পালন করছে। অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে জীবনযাপন করছেন। ৭০-৮০ ভাগ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।'

স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি বলে দেশের মানুষকে বিভাজনের রাখা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Comments