সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আ. লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, নিহত ১

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বিএডিসি মাঠে সম্মেলন শুরুর পর দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এসময় আজমল হোসেন চৌধুরী নামের একজন পিঠে ইট লেগে আহত হন। পরে তিনি মারা যান।
তবে ডাক্তারদের বরাত দিয়ে এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করেছে পুলিশ।
নিহত আজমল হোসেন চৌধুরী উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তার ভাগ্নে রহমত আলী বলেন, 'মামা ও আমি সম্মেলনে ছিলাম। সংঘর্ষের সময় মামার পিঠে ঢিল লাগে। তারপর হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান তিনি।'
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, 'সংঘর্ষের সময় অন্তত ৩৫ জন কমবেশি আহত হয়েছেন বলে জেনেছি। তবে সংঘর্ষে আহত হয়ে কেউ মারা যাননি।'
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, 'মৃত ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাক করে স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আমাদের নিশ্চিত করেছেন। সংঘর্ষের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।'
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমন ডেইলি স্টারকে বলেন, সম্মেলনে দিরাই উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা মেয়র মোশাররফ হোসেন তার অনুসারীদের নিয়ে স্টেজ দখলের চেষ্টা করেছিলেন। সম্মেলনে উপস্থিত অন্যরা তাদের বাধা দেন। এসময় মঞ্চের দিকে ঢিল ছোড়া হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মোশাররফ ও তার সহযোগী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন রায়কে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
Comments