‘আপনারা আগুন নিয়ে খেলবেন, আমাদের নেতাকর্মীরা আঙ্গুল চুষবে না’

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং করুক আমরাও চাই। কিন্তু আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা হবে। আপনারা আগুন নিয়ে খেলবেন, আর আমাদের নেতাকর্মীরা আঙ্গুল চুষবে না।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: স্টার

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে মিটিং করুক আমরাও চাই। কিন্তু আগুন আর লাঠি নিয়ে এলে খেলা হবে। আপনারা আগুন নিয়ে খেলবেন, আর আমাদের নেতাকর্মীরা আঙ্গুল চুষবে না।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ সোমবার বিকালে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কারবালায়ও শিশু হত্যা হয়নি, নারী হত্যা হয়নি। কিন্তু পঁচাত্তরে অবলা নারী ও শিশুকেও হত্যা করা হয়েছে। এরপর জয়বাংলা নিষিদ্ধ করা হয়, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধও নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আর এসবের হোতা খন্দকার মোশতাকের প্রধান সেনাপতি জিয়াউর রহমান।'

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, 'হাওয়া ভবনের যুবরাজ জিয়াউর রহমানের সন্তান শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড ছুড়েছিল। সে কত টাকার মালিক কেউ বলতে পারে না, দেশে তার কয়টা বাড়ি আছে, কয়টা মার্কেট আছে, তাও কেউ জানে না। বড়লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে কুকুর থেকে সাবধান। আমি দেশবাসীকে বলি তারেক রহমান থেকে সাবধান।'

ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেন, 'পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে ভালো মানুষ আর একজনও নেই, সাহসী আর একজনও নেই, তার সমান জনপ্রিয়ও কেউ নেই।'

সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বাবু অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি এবং উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, সংসদ সদস্য বেগম হোসনেয়ারা এবং পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রমুখ।

সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহকে পুনঃনির্বাচিত এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজন কুমার চন্দ ও সহ-সভাপতি হিসেবে ফারুক আহম্মেদ চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

Comments