রাজাকারদের নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ করতে চাইলে বাংলার মানুষ আঙ্গুল চুষবে না

বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে। সেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধ করতে চায়, ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ওরা জয় বাংলা বলে না। বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা ঘোষণা করে না। ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক হতে পারে না। রাজাকারদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করবেন আর বাংলার মানুষ বসে বসে আঙ্গুল চুষবে, এটা হতে পারে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি নেতারা যদি বলতে চান, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের কিছু লোক বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে কিন্তু হত্যার মূল নায়ক জিয়াউর রহমান। এ কথা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। এটা সুস্পষ্টভাবে কর্নেল ফারুক ও রশিদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কীভাবে হত্যা নির্যাতন করেছে বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে একই কাজ করল। ২০১২-১৫ কীভাবে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যা করে শেষ হয়নি, এখন আবার শুরু করেছে আরেক নাটক। এখন তারা সমাবেশ করছে। বিএনপিকে বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বর এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা সমাবেশ করবেন। উনারা করবেন নয়াপল্টনে। কারণ এখানে করলে তাদের বুকে জ্বালা আছে। ১০ ডিসেম্বর কেন বেছে নিল? কারণ ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও আল বদর বাহিনী।
আমরা এখনো শেষ হয়ে যাইনি। ২ লাখের মতো মুক্তিযোদ্ধারা বেঁচে আছে। আমাদের সঙ্গে ৫ লক্ষাধিক সন্তান রয়েছে। তাদের তারুণ্যের উন্মাদনা রয়েছে। তাদের বলতে চাই, একটি দেশ আমরা স্বাধীন করে দিয়ে গেছি। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি, এগিয়ে চলো। আমরা এই স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলা করে এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করবো, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটা সমাবেশ করে উনারা মনে করছেন, এই সমাবেশ করলেই বোধ হয় আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে পারবো। আমি শ্রমিক, পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা—যারা ২০১৫ সালে আমরা আগুন সন্ত্রাসকে মোকাবিলা করেছিলাম। আমরা এখনো ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবিলা করার প্রস্তুত আছি।
এ সময় ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
Comments