‘বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না’

তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদ
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ। ফাইল ছবি

বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশ থেকে রাজনৈতিক দলের অফিসে হামলা ও ভাঙচুর, তালাবন্ধ করা, নেতাদের অফিসে ঢুকতে না দেওয়া, সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, গণ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী শাসকরা এ ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে, ওই সব স্বৈরাচারী শাসকরা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকতে পারে না।

সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন বন্ধ, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবীতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডা. হারুন উর রশীদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের রুবেল সিকদার।

সভায় বক্তারা বলেন, সরকার সভা-সমাবেশ বন্ধ করে শুধু রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেনি, জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। ভয়ের রাজত্ব তৈরি করে দুর্নীতি-লুটপাট অব্যাহত রেখে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চাইছে।

তারা বলেন, সরকার দেশকে পুলিশ ও গুণ্ডাদের রাজত্বে পরিণত করেছে। সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে এসব ভূমিকা আরও নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

বক্তারা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে বলেন, 'দেশে বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।'

ভোট ও ভাতের লড়াই জোরদার করতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিজ নিজ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, নিজস্ব দাবি বাস্তবায়নে গণসংগ্রাম, গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

8h ago