কোথায় আমাদের নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, প্রশ্ন মোশাররফের
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, 'এই সরকার বলে, আমরা নাকি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সন্ত্রাস করার জন্য কর্মসূচি দিচ্ছি। গতকাল পর্যন্ত আমাদের যতগুলো কর্মসূচি হয়েছে, আপনারা দেখান, কোথায় আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো ধরনের সন্ত্রাস বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে! পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।'
আজ রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, 'নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার-ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। যদিও গত কয়েকদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গণগ্রেপ্তার অব্যাহত ছিল। তারপরও দেশব্যাপী প্রায় সব ইউনিয়নে গতকাল অত্যন্ত সফলভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট, বাকশালী আওয়ামী সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রাকে বানচাল করতে দলীয় সন্ত্রাসী ও কিছু সংখ্যক পুলিশেকে লেলিয়ে দিয়েছিল। গতকাল দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলা করে ও গুলি চালায়।'
'নরসিংদীর পলাশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেকমন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খানের মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া, যশোরে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ অমিতের ওপর ডিবি পুলিশ বর্বরচিত হামলা চালায়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠি পেটা করে। গতকাল পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় প্রায় ৫ শতাধিক নেতার্মীদের আহত করেছে। প্রায় শতাধিক বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং লুটপাট চালিয়েছে তারা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে,' বলেন মোশাররফ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বিএনপি জনগণের দাবি নিয়ে যখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে একই স্থানে বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসকগোষ্ঠী পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসকে উসকে দিয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। জনগণের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ ব্যয় করে পুলিশ পাহারায় শান্তি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর সব প্রক্রিয়া চলছে।'
মোশাররফ বলেন, 'আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলা সত্ত্বেও গণতন্ত্রকামী জনতা দানবীয় সরকারের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে এসে কর্মসূচি সফল করে প্রমাণ করেছে, এ সরকার জনবিচ্ছিন্ন।'
'ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র' বলেও তিনি মন্তব্য করেন। মোশাররফ বলেন, 'নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়বে, সরকারের বিদায় ঘণ্টা ততই ত্বরান্বিত হবে।'
Comments