বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: মির্জা ফখরুল
নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করতে সরকার আবার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ টেনে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, 'আজকে যে মামলাগুলো হচ্ছে, মামলাগুলো মিথ্যা এবং শুনে অবাক হবেন যে পুরনো মামলাগুলো আবার রিভাইভ করা হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের মামলাগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করে দেওয়া। ব্যস্, ওদের কাজ হয়ে গেলো। ক্যান্ডিডেট যদি না থাকে, তখন নির্বাচন কি হবে? আজকে সেই লক্ষ্যে তারা নেমেছে। লক্ষ্য একটাই, আবারও বিনাভোটে জোর করে, কারচুপি করে যেনতেনোভাবে ক্ষমতা দখল করা।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে খুন-হত্যা-মিথ্যা মামলা, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিথ্যা মামলায় নামভুক্ত নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে।'
'সরকারের জুলুম নির্যাতন বিভিন্ন কৌশলে সম্প্রতি বেড়েই চলেছে' বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে আজ এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
মির্জা ফখরুল এ সময়ে বলেন, 'সম্প্রতি এক ভয়ংকর চক্রান্তমূলক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা ৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক খায়রুল কবির খোকন ও শিরিন সুলতানাসহ নরসিংদীর ৫০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চক্রান্তমূলকভাবে খোকনের নরসিংদীর বাসভবন ও বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে।'
'এই ঘটনা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যক্ষ যোগসাজসে ও সমর্থনে কিছু সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পরবর্তীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য নরসিংদী থেকে বিএনপিকে নির্মূল করা এবং খোকনের মতো একজন ভদ্র, সজ্জন রাজনীতিবিদকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া।'
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, বিএনপি জেলা কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় থানায় তাতক্ষনিক অভিযোগ দেওয়া হলেও জিডি এজাহার করতে গেলে কোনো কিছুই পুলিশ গ্রহণ করেনি। সর্বশেষ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একজন বিএনপির কার্যালয় অগ্নিসংযোগ ও বোমা মারার বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিলেও পুলিশ ওই সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি এমনকি থানা কোনো অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, খোকনের বাড়ি ও জেলা অফিসে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা সরকারি মদদপুষ্টরা ঘটিয়েছে। আমরা এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।'
Comments