আমরা এখন সংকট সংকুল দুর্গম পথের যাত্রী: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হলে সংলাপ হতে পারে
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে তৃণমূলের নেতাদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'আমরা এখন এক সংকট সংকুল দুর্গম পথের যাত্রী। আবারও ষড়যন্ত্র চলছে, সন্ত্রাস চলছে। আবারও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জন্মকালের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। আবারও আমাদের পতাকা হুমকির মুখে।'

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়েছে।
 
তিনি বলেন, 'এ কথা স্বীকার করতেই হবে, কিছু দুঃখ-কষ্ট আছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি আছে। কিন্তু এগুলো আমাদের সৃষ্টি নয়, আমরা শাস্তি পাচ্ছি। বড় বড় দেশগুলো এসব সংকট, দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। শেখ হাসিনার মতো নেতা আছেন বলেই আমরা এ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই দুর্দিন, দুঃসময় কেটে যাবে। বাংলাদেশ আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।'

কাদের বলেন, 'যত বাধা আসুক, ষড়যন্ত্র আসুক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। তিনি মাথা নত করতে জানেন না। তিনি মাথা নত করেন না।' 

নেতা কর্মীদের বলেন, 'ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ওই ষড়যন্ত্রকারীদের টাকার খেলা, কিছু লোকজন দেখলেই ভয় পাচ্ছে। আমাদের লোক অনেক বেশি।' 

'বাংলাদেশের সবশেষ জনমত জরিপে এখনো ৭০ শতাংশ মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সমর্থন করে। আগামী নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।'

তিনি বলেন, 'শপথ নিন, প্রস্তুত হোন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, অনেক রক্তঝরার বাংলাদেশ, এই দেশ, আমার পতাকা পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে আমরা তুলে দেব না। শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। ভয় নেই, শেখ হাসিনা আছেন। আমরা তার নেতৃত্বে এগিয়ে যাব, আগামী নির্বাচনেও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাব। যতকিছুই করুক, সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বিজয়ের বন্দরে আমরা পৌঁছাব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

4h ago