রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আ. লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

মিঠাপুকুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

মিঠাপুকুর থানার উপপরিদর্শক মনিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমানের অনুসারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের উল্টো দিকে মিঠাপুকুর আন্ডারপাস ব্রিজের নিচে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার।

মিঠাপুকুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার শঠিবাড়ী থেকে জাকির হোসেন সরকারের নেতৃত্বে একটি র‍্যালি উপজেলা পরিষদের গেটে আসে। এ সময় অপরপক্ষের লোকজন তাদের উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। 

পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ ২ গ্রুপের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভায় মিঠাপুকুরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার অভিযোগ করে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে অপরপক্ষের লোকজন। এতে আমার ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।'

জানতে চাইলে জাকির হোসেন সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। কিন্তু কেন আমাদের ওপর হামলা করা হলো তা বুঝতে পারিনি।'

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টুকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 

জানতে চাইলে মিঠাপুকুর থানার এসআই মনিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'

এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৮-১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান এসআই মনিবুর রহমান।  

ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) আবু হাসান মিয়াকে কল করা হলে, তিনি রিসিভ করে 'ব্যস্ত আছেন' জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat calls for mass rally after Juma prayers demanding AL ban

The announcement came during an ongoing protest programme that began last night in front of Jamuna.

4h ago