‘বিএনপির সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থেকে গুমের মিথ্যা অভিযোগ করছে’

ডাঃ ইউনূসের ৬ মাসের জেল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তথাকথিত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি চিরাচরিত নির্লজ্জ মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রেখেছে।

আজ বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মসূচি ও অবরোধের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি বিএনপির গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার শক্তি ও সামর্থ্য নেই বলেই তারা বরাবরের মতো অগ্নিসন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।' 

তিনি বলেন, 'বিএনপি ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে আগুনের লেলিহান শিখায় সারা দেশ পোড়াচ্ছে। তারা মেতে উঠেছে নির্বিচার ভাঙচুর ও সহিংসতায়।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'তথাকথিত সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অন্তরের জ্বালা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যর্থতার সেই আগুনে তারা বাংলার জনগণের আগামীর সম্ভাবনাকে পুড়িয়ে ছাই করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস থেকে জীবন্ত ও ঘুমন্ত মানুষ, নারী ও শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না। 

তিনি আরও বলেন, 'গণতন্ত্রের নামে বিএনপি লাশের রাজনীতি করছে। এ দেশের রাজনীতিতে মানুষ পুড়িয়ে মারার যে পৈশাচিকতার প্রচলন বিএনপি করেছে, তা সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিপন্থী। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জনগণের নিরাপত্তা সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।'

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির নেতারা ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের নামে লাগাতার মিথ্যা, অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করছে এবং তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা দিচ্ছে।'

'বিএনপি নেতারা তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও গুমের মিথ্যা অভিযোগ করছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিএনপির সন্ত্রাসী ক্যাডারবাহিনী যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সন্ত্রাস ও নাশকতা চালাচ্ছে, জনগণের জানমালের ওপর হামলা করছে। তারা নিজেরাই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকছে। অথচ বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরের মতো গুমের মিথ্যা অভিযোগ করছে।' 

'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজনৈতিক নেতাকর্মী বিবেচনায় নয় শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করছে। কোনো সন্ত্রাসী আত্মগোপনে থাকলে, তার দায় সরকারের ওপর চাপানো যায় না। আওয়ামী লীগ কখনো গুম, খুন, অগ্নিসন্ত্রাস ও বিরোধী দল দমনের রাজনীতি করে না,' যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, 'গুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজনীতি বিএনপির মজ্জাগত আদর্শ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এ দেশে গুম ও খুনের অপরাজনীতির প্রচলন করে। তৎকালীন সময়ে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজ বাবুকে গুমের মধ্য দিয়ে এই ধারার সূচনা করে বিএনপি। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়া ১৯৭৯ সালে বঙ্গবন্ধুর সময়ের দেড় শতাধিক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের জেলে বন্দি রেখে নির্বাচন আয়োজন করেছিল এবং আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের প্রার্থিতা বাতিল করে প্রহসনের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল।'

'তারই ধারাবাহিকতায় ২০০১-০৬ সালে বিএনপি-জামাত অশুভ জোট আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল এবং অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে শতশত মানুষকে হত্যা করেছিল,' বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের শক্তির একমাত্র উৎস জনগণ। জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

তিনি বলেন, 'গণবিরোধী অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এবং সন্ত্রাস, নাশকতা, নৈরাজ্য ও গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন-সমৃদ্ধির চলমান অগ্রগতিকে যেকোনো মূল্যে সমুন্নত রাখবে বাংলার জনগণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago