করাপশন ইজ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রস দ্য ওয়ার্ল্ড নাও: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। এ ধরনের কর্মসূচির নামে সহিংসতা করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পাহারায় যাবে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র কোথাও নেই। আমাদের গণতন্ত্র রাতারাতি ত্রুটিমুক্ত হবে না। বিএনপি দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তা গণতন্ত্রকে কণ্টকাকীর্ণ করেছে। যারা নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বলেনি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি।

তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারি দল বলে কি নিয়ম মানবো না?

টিআইবি বলছে এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ চার নম্বরে আছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, টিআইবি তো বিএনপির দালাল, বিএনপি যা বলে টিআইবিও তা বলে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট আছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব সেখানে অবস্থানগতভাবে কোনো কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান। ওখানে কারো স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কমেন্ট করা হয়। এসব অপবাদ দেওয়া হয়। এটা অতীতেও দেওয়া হয়েছে। আমরা এগুলোর পরোয়া করি না।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ জনস্বার্থে করে যাচ্ছি। দুর্নীতি, করাপশন ইজ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রস দ্য ওয়ার্ল্ড নাও (দুর্নীতি এখন সারা বিশ্বে জীবনের অংশ হয়ে গেছে)। এটা বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, সারা বিশ্বেই আছে কমবেশি। কিন্তু যেভাবে অপবাদটা বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, এটা মোটেও সত্য নয়।

মন্ত্রিসভার কলেবর বড় হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বাড়তে পারে একটু। কারণ এখানে রিজার্ভ সিটগুলো, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত যে আসন সে আসনে নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও যুক্ত হতে পারে। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যদি আরও ইচ্ছা করেন তিনি যুক্ত করতে পারেন।

আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি পৃথিবীময় অর্থনীতির ওপর চরম আঘাত এনেছে জানিয়ে কাদের বলেন, আজকে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি জনগণের সমস্যা সমাধানে জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবে।

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Jute prices jump amid supply crunch, polybag ban

Prices of raw jute, once dubbed the “golden fibre” of Bangladesh, have increased by nearly 19 percent year-on-year as demand has outpaced supply following the government’s ban on polythene bags.

12h ago