৭ বছর আগে ফখরুলের গাড়িতে হামলা: হাছান মাহমুদসহ ৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শন করতে মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রাঙ্গুনিয়ার কাপ্তাই হয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ১৮ জুন রওনা হন। পথে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সাত বছর আগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর ও আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুন নেসা খানমের আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নাজিম উদ্দিন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

বাদীর আইনজীবী এনামুল হক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে মামলা আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শন করতে মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল রাঙ্গুনিয়ার কাপ্তাই হয়ে রাঙ্গামাটি যাওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ১৮ জুন রওনা হন। পথে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এতে আহত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে। হামলার শিকার বিএনপির প্রতিনিধিদল রাঙ্গামাটি না গিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে আসে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই ঘটনার জন্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে দায়ী করেন।

 

Comments