পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে এখনো সক্রিয়: তারেক রহমান

বিএনপির র‍্যালি উদ্বোধন করেন তারেক রহমান। ছবি: পলাশ খান/স্টার

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিএনপি আয়োজিত র‍্যালি উদ্বোধনের সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, 'স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে আমি একটি বিষয় আবারও স্মরণ করিয়ে সর্তক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই। আমি নিজেও সর্তক থাকতে চাই। সেটা হলো গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই।'

'অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে প্রশাসনে এখনও সক্রিয়। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না,' বলেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক বলেন, 'নিজেদের সর্তক করতে চাইলে, এই অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এটিই আজ জনগণের চাওয়া।'

তিনি বলেন, 'লাখো জনতার এই মিছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহত অসংখ্য ছাত্র-জনতা এবং হাজারো শ্রমিকের স্বপ্নে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় মিছিল।'

'বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী অপশক্তি জেনে রাখুক, রাজধানীর রাজপথের আজকের এই সমাবেশ কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার মিছিল নয়। বরং এই মিছিল বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার, নিজের অধিকার রক্ষার এবং নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল,' যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে, এজন্য প্রতিটি নাগরিকের যেন সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সক্ষমতা অর্জন জরুরি।'

তারেক রহমান বলেন, 'জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যদি জনগণের ভোটের মুখাপেক্ষী করা না যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্রের সুফল পাওয়া যাবে না।' 

'এমনকি স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ হতে মুক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে, যদি না আমরা মানুষের সরাসরি অধিকার নিশ্চিত করতে না পারি,' বলেন তিনি। 

তারেক রহমান আরও বলেন, '১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল শত্রু চিহ্নিত করার দিন। আমি আগেও বলেছি বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে, আর কেউ দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন করতে পারবে না।'

তিনি বলেন 'রাজধানী ঢাকার আজ লাখো জনতার এই মিছিল বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago