বাগেরহাটে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩

২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলায় কারাগারে ছাত্রলীগ নেতা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঘটা সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) মারা গেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চিতাবাড়ী গ্রামের ইমান উদ্দিন শেখের ছেলে শওকত হোসেন সম্প্রতি ধোপাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

স্থানীয় বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদরের দেপাড়া বাজার এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ও শওকতের ভাই লিয়াকত হোসেনসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

সংঘর্ষের পর শওকতকে প্রথমে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।

লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফজাল হাওলাদারসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

শওকতের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

লিয়াকতের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী আফজাল হাওলাদার ও তার সহযোগীরা ওই দিন হামলা চালিয়েছে।

'আমার ভাই নয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছে মারা গেছে। আমি এর বিচার দাবি করছি,' বলেন তিনি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, শওকত হোসেনের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করেছেন, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

'বিএনপি নেতা হায়দার আলীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে,' 
বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Jucsu election set for July 31 after 33-year gap

The first election to the Jahangirnagar University Central Students' Union (Jucsu) in 33 years will be held on July 31

29m ago