বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৫

আহতদের মধ্যে সুজয় শুভ, মাহমুদুল হাসান সজীব, সুজন মাহমুদ, সিরাজুল ইসলাম, ভূমিকা সরকার, সেঁজুতি, রিফাত আহমেদ, জুবায়েরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিজিবি। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এই ঘটনায় প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে নয় জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে এই ঘটনা ঘটে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও হামলাকারীরা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় বলে জানা গেছে। এ কে আরাফাতের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন হামলায় অংশ নেন।

হামলায় আহত শুভ জানান, আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে অবস্থান করছিলাম। এই সময়ে ছাত্রলীগের এ কে আরাফাতের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। লাঠি নিয়ে হামলায় অনেকের নাক মুখ ফেটে যায়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছবি: টিটু দাস/স্টার

আহতদের মধ্যে সুজয় শুভ, মাহমুদুল হাসান সজীব, সুজন মাহমুদ, সিরাজুল ইসলাম, ভূমিকা সরকার, সেঁজুতি, রিফাত আহমেদ, জুবায়েরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানার ওসি আবদুর রহমান মুকুর। তিনি বলেন, হামলার খবর শুনে আমরা উপস্থিত হয়ে নিবৃত্ত করি। আমরা যতদূর শুনেছি, আন্দোলনের পক্ষের ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে এ কে আরাফাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাইয়ুম হোসেনও কল রিসিভ করেননি।

সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বরিশালে বিএম কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুরে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গেলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, যতদিন গ্রেপ্তার, নির্যাতন, গুম খুন চলবে ততদিন আন্দোলন চলবে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছি।

সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছি। আমাদের অনুরোধে তারা ওই জায়গা থেকে চলে যান।

Comments