অধিকার

ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে আরও ২ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম

ডেমোক্রেসি ইনডেক্স ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে ‘হাইব্রিড শাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।
ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে আরও ২ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম
ছবি: ইআইইউ

২০০৬ সালে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ছিল ত্রুটিপূর্ণ এবং ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে মোটেই গণতান্ত্রিক হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।

আজ বৃহস্পতিবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত ডেমোক্রেসি ইনডেক্স ২০২৩ এ এমনটিই বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

এমনকি ২০২২ সালের তুলনায় ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে দুই ধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৩তম, যা বর্তমানে ৭৫তম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দশটি দেশের মধ্যে আটটি—বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, পাকিস্তান, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র—২০২৪ সালে দেশব্যাপী নির্বাচন করেছে। এর অর্ধেক দেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নয় এবং বাকস্বাধীনতাসহ আরও অনেক গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত অনুপস্থিত ছিল।'

এতে আরও বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়ার নির্বাচন—যেখানে বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের শিকার—সরকার পরিবর্তন বা গণতন্ত্র আনবে না।'

ডেমোক্রেসি ইনডেক্স ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে 'হাইব্রিড শাসন' হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।

প্রতিটি দেশের শাসন ব্যবস্থাকে এই ইনডেক্সে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো—পূর্ণ গণতান্ত্রিক, ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক, হাইব্রিড শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং রাজনীতিতে বহুত্ববাদ, সরকারের কর্মপ্রণালী, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক স্বাধীনতার ওপর ভিত্তি করে একটি দেশের শাসন ব্যবস্থাকে বিচার করে এই ইনডেক্স।

বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর নাগরিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণে এবং সর্বোচ্চ স্কোর রয়েছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়।

জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা, ভোটারদের নিরাপত্তা, সরকারের ওপর বিদেশি শক্তির প্রভাবের মাত্রা এবং নীতি বাস্তবায়নে সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতাও মূল্যায়ন করে এই ইনডেক্স।

এই ইনডেক্স সেইসব দেশকে হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থার তালিকায় রাখে যেসব দেশে 'নির্বাচনে অনিয়মের কারণে প্রায়শই সেগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হয় না। বিরোধী দল ও প্রার্থীদের ওপর সরকারের চাপ থাকে। দুর্নীতির প্রবণতা ব্যাপক এবং আইনের শাসন দুর্বল। সুশীল সমাজ দুর্বল। সাধারণত, সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয় এবং তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়।'

ইনডেক্সে বলা হয়েছে, 'ইতোমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর স্কোর উপমহাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন এবং বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে আরও পিছিয়ে গেছে।'

এই ইনডেক্স অনুযায়ী, পাকিস্তান বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার দেশ হিসেবে বিবেচিত। ভুটান ও নেপালের স্কোর বাংলাদেশের চেয়ে কম এবং ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বিবেচিত শ্রীলঙ্কার স্কোর বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

আফগানিস্তানের অবস্থান তালিকার সবচেয়ে নিচে। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশ হিসেবে আফগানিস্তানকে তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। এর ঠিক উপরেই রয়েছে মিয়ানমার। দেশটির অবস্থান উত্তর কোরিয়ারও নিচে।

সূচক অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র এবং কানাডা, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

The invisible ones

Of the over 7 crore people employed in Bangladesh, 85 percent (nearly 6 crore) are vulnerable as they work in the informal sector, which lacks basic social and legal protection, and employment benefits.

6h ago