চট্টগ্রামে হাসিনা-কাদের-পলকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা

শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও পলক। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিচারক জহিরুল হকের আদালতে মামলাটি করেন নগরের হালিশহর এলাকার অনলাইন ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ।

তবে নিজেকে ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও ২০২২ সালের আগস্টে নৌবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নূর মোহাম্মদ। তখন তার কাছ থেকে নৌ বাহিনীর ইউনিফর্মসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত নানা উপকরণ জব্দ করেছিল নগরীর খুলশী থানা পুলিশ।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ড. হাছান মাহমুদ, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, সালমান এফ রহমান, মো. আলী আরাফাত, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নায়বুল ইসলাম ফটিকসহ তিন নেতাকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নওশেদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।

বাদী নুর মোহাম্মদ বলেন, 'আমার ব্যবসায়িক ক্ষতির জন্য আমি মামলা করেছি।'

আগের প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাকে হেয় করার জন্য এই মামলা দেওয়া হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।'

নুর মোহাম্মদ দাবি করেন, তার আগের মামলার সঙ্গে এই মামলার কোনো সম্পর্ক নেই।

মামলার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, মামলার বাদী নুর মোহাম্মদ দুরন্ত সাপ্লাইয়ার ও দুরন্ত বাজার অনলাইন সফটওয়্যারভিত্তিক ব্যবসায়ী। দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রায় ২০০ জন কর্মচারী কাজ করছেন। বাদীর দৈনিক অনলাইনে লেনদেন হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার। গত ১৮ জুলাই আসামিদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশে গণহত্যা পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের উদ্দেশ্যে দেশে ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের সব ব্যবসা বন্ধ থাকে। আসামিরা প্রত্যেকে গণমাধ্যম ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রদূতদের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করেন ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড বন্ধ থাকা অবস্থায়। জনগণের অধিকার হরণ করে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখায় দেশের বাণিজ্যিক খাতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। আর বাদী নুর মোহাম্মদের ব্যবসায়িক ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrants workers rights in Malaysia

Migrants in Malaysia: Worker faces deportation after speaking up

Nearly 200 workers then began a strike on Friday, he said, requesting not to be named for fear of backlash.

6h ago