পাকিস্তানে ফল কিনে ‘ফতুর’ ইলন মাস্ক, মিম ভাইরাল

পাকিস্তানে ফল কিনে ‘ফতুর’ ইলন মাস্ক, মিম ভাইরাল
সম্প্রতিকালে ইলন মাস্কের ছবিটি পাকিস্তানে ভাইরাল হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সম্প্রতিকালে ইলন মাস্কের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এই বিলয়নিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোক্তা পাকিস্তানি পোশাক পরে রাস্তায় হাঁটছেন এবং তার চোখেমুখে 'গরীবী ছাপ'। 

মিমটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে পাকিস্তানে এসে কিছু ফল কিনে ইলন মাস্কেরও এই দশা হয়েছে!

দেশটিতে চলমান অসহনীয় মূল্যস্ফীতি বোঝাতে সুচতুরভাবে ইলন মাস্কের এই ছবিটি বিশেষ সম্পাদনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। 

অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতির কারণে পাকিস্তানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে এবং মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। অতিরিক্ত দামের কারণে বহু মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য বর্জনেরও ডাক দিচ্ছেন। 

তবে, দুঃখ ভোলার জন্য মানুষ সাধারণত আনন্দ খোঁজে। এই কঠিন দুর্দশার মধ্যেও পাকিস্তানের মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৌতুক করছেন। মাস্কের সম্পাদনা করা ছবিটিও তেমনই একটি কৌতুক। 

রমজানে ফল দিয়ে তৈরি সালাদ পাকিস্তানে জনপ্রিয় একটি খাবার। কিন্তু এবার ফলের দাম অত্যন্ত বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ সালাদ খেতে পারছেন না। এই পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে ইলন মাস্কের 'গরীবী হালের' ছবি দিয়ে একজন টুইটারে লিখেছেন, 'পাকিস্তানে সালাদ তৈরির জন্য ফল কেনার পর ইলন মাস্কের অবস্থা!' 

মুহূর্তেই ছবিটি টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটঅ্যাপে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ছবির নিচে একজন মজা করে লিখেছেন, 'মাস্ক হয়তো পাকিস্তানের মানুষদের অবস্থা বোঝার জন্য ছদ্মবেশে ঘুরছেন। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করি মাস্ক একজন সহৃদয়বান ও মহানুভব ব্যক্তি।'

আরেকজন ইয়ার্কি করে লিখেছেন, 'এলন খান'। 

মিমটির অনেকগুলো ভার্সন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। একটিতে দেখানো হয়েছে পাকিস্তানে এসে ফল কেনার পর মাস্কের স্বাস্থ্যহানি ঘটেছে। 

মাস্কের ছবিটিকে সাদাকালো করে একটি পোস্টে বলা হয়েছে, 'উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের একটি বিচ্ছিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ মিস্ত্রি কাজ করার সময় ইলন মাস্কের একটি বিরল ছবি'। 

 

সূত্র: জিও নিউজ

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Not satisfied at all, Fakhrul says after meeting Yunus

"The chief adviser said he wants to hold the election between December and June"

3h ago