গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে মিশর সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

মিশরের রাফা সীমান্ত থেকে গাজায় পাঠানোর জন্য অপেক্ষমান মানবিক ত্রাণ সামগ্রী। ছবি: রয়টার্স
মিশরের রাফা সীমান্ত থেকে গাজায় পাঠানোর জন্য অপেক্ষমান মানবিক ত্রাণ সামগ্রী। ছবি: রয়টার্স

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সাময়িকভাবে মিশর-গাজা সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো।

আজ সোমবার রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।  

গাজায় আজ নবম দিনেও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এছাড়াও গাজাকে ঘিরে কঠোর অবরোধ আরোপ করেছে দেশটি এবং খুব শিগগির সেখানে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু হতে যাচ্ছে ।

রাফাহ ক্রসিং নামে পরিচিত এই সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত সিনাই উপদ্বীপে একাধিক দেশ থেকে আসা হাজারো মেট্রিক টন ত্রাণ সামগ্রী জমা করা হয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট চুক্তির অভাবে এই ত্রাণ সেখানে পাঠানো সম্ভব হয়নি। ত্রাণ পাঠানোর পাশাপাশি কিছু বিদেশি পাসপোর্টধারীকেও গাজা থেকে রাফাহ ক্রসিং এর মাধ্যমে বের করে আনা হবে।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, 'রাফাহ (সীমান্ত) আবারো খুলে দেওয়া হবে। আমরা জাতিসংঘ, মিশর, ইসরায়েল ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রক্রিয়া তৈরি করছি, যার মাধ্যমে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়।'

তবে এ সীমান্ত কবে খোলা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি তিনি।

ব্লিঙ্কেন জানান, অভিজ্ঞ মার্কিন কূটনীতিক ডেভিড স্যাটারফিল্ডকে রোববার মধ্যপ্রাচ্যের মানবিক সহায়তার বিষয়গুলো দেখভাল করার জন্য বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আজ সোমবার মিশরে পৌঁছে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন করবেন।

এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে। এবিসি নিউজ জানায়, সোমবার অল্প কয়েক ঘণ্টার জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে। রয়টার্স এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি।

গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য রাফা সীমান্তের কাছে জমায়েত হয়েছেন দ্বৈত নাগরিকত্বধারী ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স
গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য রাফা সীমান্তের কাছে জমায়েত হয়েছেন দ্বৈত নাগরিকত্বধারী ফিলিস্তিনিরা। ছবি: রয়টার্স

গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের এক চতুর্থাংশ শিশু। প্রায় ১০ হাজার মানুষ আহত ও এক হাজারেরও বেশি নিখোঁজ আছেন। 

মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তারা গাজার মানবিক সংকটের সমাধানে সহায়তা দেবেন।

ইসরায়েল আরোপিত অবরোধের কারণে গাজায় জ্বালানি, পানি ও খাবার পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইসরায়েলের এক মন্ত্রী রোববার জানান, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানিয়েছেন যে দক্ষিণ গাজার কিছু অংশে তিনি আবারও পানি সরবরাহ চালু করবেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইতোমধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলের ৬ লাখ বাসিন্দা সেখান থেকে সরে গেছেন। এ অঞ্চলে প্রায় ১১ লাখ মানুষ বাস করেন।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

35m ago