গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরু

ইসরায়েল শনিবার বলেছে, তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে চাপ দিতে গাজায় একটি বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দলকে কাতারে থাকতে বলেছেন।
আজ রোববার এপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, 'অপারেশন গিডিয়ন চ্যারিয়টস' বড় আকারে পরিচালিত হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করার একদিন পর ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান চালানো হলো। আশা করা হচ্ছিল, ট্রাম্পের সফর যুদ্ধবিরতি চুক্তি বা গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরুর সম্ভাবনা তৈরি করবে।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা এপিকে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু কাতারের দোহায় আলোচক দল ও মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আলোচক দলকে সেখানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে স্পর্শকাতর বিষয়ে আলোচনা করার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
ট্রাম্পের সফরের আগে শুভেচ্ছা হিসেবে এক ইসরায়েলি-আমেরিকান জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হামাস একটি চুক্তির ওপর জোর দিয়েছে। যে চুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটাবে ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে।
তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে, জিম্মিদের ফেরত না দেওয়া এবং হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা থামবে না। ইসরায়েলের ধারণা, গাজায় প্রায় ২৩ জন জিম্মি এখনো জীবিত রয়েছে, যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের তিনজনের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এতে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে এ পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে ইসরায়েলি হামলায় উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে অন্তত চার শিশু নিহত হয় বলে আল-আওদা হাসপাতাল জানিয়েছে। একটি বাড়িতে আঘাত হানার ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন। পরে জাবালিয়ায় চালানো এক হামলায় চারজন নিহত হন বলে জানিয়েছে হাসপাতালটি।
Comments