অস্ট্রেলিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ নিখোঁজ ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ

সন্দেহভাজন সিনিয়র কনস্টেবল ব্যুমন্ট লামার কন্ডন (২৮) আজ সকালে বন্ডি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি অবস্থিত এক থানায় আত্মসমর্পণ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
নিহত ব্যক্তির বাড়িতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে অস্ট্রেলীয় পুলিশ। ছবি: এএফপি
নিহত ব্যক্তির বাড়িতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে অস্ট্রেলীয় পুলিশ। ছবি: এএফপি

সিডনির এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন প্রেমিক ও অপর একজনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। উভয় ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ আছেন।

সন্দেহভাজন সিনিয়র কনস্টেবল ব্যুমন্ট লামার কন্ডন (২৮) আজ সকালে বন্ডি সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি অবস্থিত এক থানায় আত্মসমর্পণ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে আদালতে শুনানির নোটিশে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমে তাকে ব্যু লামার নামেও পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার স্থানীয় আদালতে শুনানিতে হাজির হবেন তিনি।

পুলিশের অভিযোগ, এই কর্মকর্তা তার প্রাক্তন প্রেমিক জেসি বেয়ার্ড ও লিউক ডেভিসকে সোমবার হত্যা করেছেন। কয়েক মাস আগেও জেসি বেয়ার্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন লামার।

হত্যার পর একটি সাদা ভ্যানগাড়ি ভাড়া করে তিনি মরদেহ সরিয়ে ফেলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নেটওয়ার্ক ১০ এর টিভি উপস্থাপক ছিলেন বেয়ার্ড। তার সঙ্গী, নিহত আরেক ব্যক্তি ডেভিস কোয়ানতাস বিমানসংস্থার ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন।

বুধবার সকালে সমুদ্র সৈকতের তীরে অবস্থিত ক্রোনুলা শহরতলীর একটি বড় ময়লা ফেলার বিন থেকে তাদের কিছু রক্তমাখা জিনিসপত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

এই সূত্রে পুলিশ সিডনির প্যাডিংটনে অবস্থিত বেয়ার্ডের বাসায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে একটি গুলি ও প্রচুর রক্ত দেখতে পায়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা লামারের পিস্তলের গুলির ধরনের সঙ্গে এই গুলির মিল পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকালে সিডনি থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে সাদা ভ্যানটি খুঁজে পাওয়া যায়।

গোয়েন্দা বিভাগের সুপার ড্যানিয়েল ডোহার্টি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'নিহতদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া খুবই জরুরি। শুধু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য নয়, তাদের পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের খাতিরেও এটা খুবই প্রয়োজনীয়।'

তবে পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় কীভাবে বেয়ার্ড ও ডেভিস নিহত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago