নির্বাচনী প্রচারণার সময় গুলি, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিহত

নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় গুলির আঘাতে নিহত হন ফারনান্দো ভিলাভিসেনসিও। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় গুলির আঘাতে নিহত হন ফারনান্দো ভিলাভিসেনসিও। ছবি: রয়টার্স

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ফারনান্দো ভিলাভিসেনসিও দেশটির রাজধানী কুইটোর উত্তরাঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্নীতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ফারনান্দো গুলির আঘাতে নিহত হন। তবে ইকুয়েডরের পুলিশের কাছে বারবার জানতে চাওয়া হলেও তারা এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এই অপরাধের এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি গুলি বিনিময়ের সময় নিহত হন। এই সহিংসতায় আরো ৯ ব্যক্তি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন এক সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ২ পুলিশ কর্মকর্তা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে গোলাগুলি শুরু হলে মানুষ চিৎকার করছে এবং আড়াল খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো এক্স বার্তায় (সাবেক টুইটার) ফার্নান্দোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। পোস্ট করা বিবৃতিতে গুইলারমো লাসো বলেন, 'তার স্মৃতি ও সংগ্রামের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি নিশ্চিত করছি, এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।'

ভিলাভিসেনসিও নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
ভিলাভিসেনসিও নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

'সংঘবদ্ধ অপরাধ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। কিন্তু তাদেরকে আইনের পূর্ণ সক্ষমতার মুখোমুখি হতে হবে', যোগ করেন তিনি।

২০ আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হল নিরাপত্তা ঝুঁকি, বেকারত্ব ও অভিবাসন।

ভিলাভিসেনসিও দুর্নীতির ও কর ফাঁকি দেওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছিলেন। জনমত জরিপ অনুযায়ী ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তিনি ৮ প্রার্থীর মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Touhid Hossain Rohingya statement

Rohingya repatriation unlikely amid Myanmar’s civil war: foreign adviser

He highlights the 2017 mass exodus—prompted by brutal military crackdowns was the third major wave of Rohingyas fleeing Myanmar

1h ago