রিজার্ভ সেনার ঘোষণার পর রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার হিড়িক

অ্যারোফ্লতের উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
অ্যারোফ্লতের উড়োজাহাজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া ছেড়ে যাওয়ার ফ্লাইটের চাহিদা ও ভাড়া হঠাত করেই বেড়েছে। দেশটির ভ্রমণ ওয়েবসাইটগুলো এমনটাই জানিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদন মতে, যেসব দেশে যেতে রুশদের আলাদা করে ভিসা নিতে হয় না, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সেসব গন্তব্যের সব ফ্লাইট বুকিং হয়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রিজার্ভ সেনাদের প্রস্তুত থাকতে বলার পরেই বিদেশ যাওয়ার হিড়িক পড়েছে।

মস্কো থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল, আর্মেনিয়ার ইয়েরেভান ও আজারবাইজানের বাকুর সব সরাসরি ফ্লাইট আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বুকিং হয়ে গেছে।

গুগল ট্রেন্ডস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গুগলে 'লিভিং রাশিয়া' (রাশিয়া ছেড়ে যাচ্ছি) বাক্যাংশটি রুশরা অনেক বেশিবার সার্চ করেছেন।

গুগল ট্রেন্ডস আরও জানায়, রুশরা 'আভিয়াসেলস' লিখেও সার্চ দিচ্ছেন। এটি রাশিয়ার শীর্ষ ফ্লাইট বিক্রির ওয়েবসাইট। অনুসন্ধানের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ গুণ বেড়েছে। মূলত মস্কো ও সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এই সার্চগুলো করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। 

আভিয়াসেলস জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার মস্কো থেকে ইস্তাম্বুলের ফ্লাইটের ভাড়া ছিল ২ হাজার ৭১৫ ডলার। পুতিনের ঘোষণার আগে টিকিটের দাম ছিল ৩৫০ ডলারের মতো। 

রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা অ্যারোফ্লতের ওয়েবসাইটে জানা গেছে, ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আর্মেনিয়াগামী সব ফ্লাইটের ইকোনমি শ্রেণীর টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

অ্যারোফ্লত এক বিবৃতিতে জানায়, 'যাত্রী ও গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে আমরা জানাতে চাই, অ্যারোফ্লত গ্রুপ এয়ারলাইন্স স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের টিকিট বিক্রির ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।'

গতকাল পুতিন রিজার্ভ বাহিনীর 'আংশিক সেনাসমাবেশের' কথা জানান, যার অর্থ, যেসব নাগরিক রিজার্ভে আছেন, তাদেরকে ডেকে পাঠানো হতে পারে। এছাড়াও, যাদের সামরিক অভিজ্ঞতা আছে, তাদেরকে সরাসরি বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে জানান, ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা ডেকে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় আদেশ ইতোমধ্যে সাক্ষর করা হয়েছে এবং এটি কার্যকর রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুতিন।

বিজয় প্যারেডে ভ্লাদিমির পুতিন ও সের্গেই শোইগু। ফাইল ছবি: রয়টার্স
বিজয় প্যারেডে ভ্লাদিমির পুতিন ও সের্গেই শোইগু। ফাইল ছবি: রয়টার্স

পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া থেকে অন্য দেশে যাওয়ার ফ্লাইটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পেছনে ইউক্রেনে ক্রেমলিনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভিন্নমতের অবদান থাকতে পারে।

সোমবার প্রখ্যাত রুশ পপ গায়িকা আল্লা পুগাচেভা চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে তার আপত্তির কথা জানান। তিনি রুশ সেনাদের অহেতুক মৃত্যু বন্ধ ও দেশটির বাকি বিশ্বের কাছে অবাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি নিরসনের আহ্বান জানান।

 

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

12h ago