লোহিত সাগরে ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারে’ ২ পাইলটসহ মার্কিন বিমান ভূপাতিত

মার্কিন নৌবাহিনীর দুই পাইলটসহ একটি মার্কিন বিমান ভূপাতিত হয়েছে। তবে দুইজনই জীবিত আছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনীর দাবি, কোনো শত্রু নয়, নিজেদের ভুলক্রমে ছোড়া গুলি বা ফ্রেন্ডলি ফায়ারেই এই ঘটনা ঘটেছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

শনিবার দিনের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড (সেন্টকম) ফ্লোরিডায় অবস্থিত সদর দপ্তর থেকে জানিয়েছে, 'প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, একজন পাইলট সামান্য আঘাত পেয়েছেন।'

'কোনো শত্রুপক্ষের গুলিতে এই ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে', যোগ করে সেন্টকম।

সেন্টকম বিবৃতিতে আরও জানান, রণতরী ইউএসএস গেটিসবার্গ থেকে 'ভুলক্রমে ছোড়া গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র নৌবাহিনীর একটি এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানে আঘাত করে। এই যুদ্ধবিমানটি অন্য একটি জাহাজ, ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যানের ক্রুরা পরিচালনা করছিলেন।'

মার্কিন রণতরী ইউএসএস গেটিসবার্গ থেকে ভুলক্রমে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধবিমানে আঘাত হানে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন রণতরী ইউএসএস গেটিসবার্গ থেকে ভুলক্রমে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধবিমানে আঘাত হানে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

এই ভুলকে বিশ্লেষকরা 'মারাত্মক বিপর্যয়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই বিপজ্জনক মার্কিন অভিযানে এ ধরনের ভুলকে তারা অমার্জনীয় বলে অভিহিত করেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে নৌপরিবহনকে বিঘ্নিত করতে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীরা সচেষ্ট রয়েছে। প্রায় ২০০ বারেরও বেশিবার তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের ব্যতিব্যস্ত রেখেছে।

তবে শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের দখলে থাকা রাজধানী সানায় বেশ কিছু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে হুতিদের ছোড়া শক্তিশালী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের তেল আবিবে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হন।

মার্কিন নৌবাহিনীর এফ এ/১৮ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মার্কিন নৌবাহিনীর এফ এ/১৮ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে হুতিদের বেশ কিছু ড্রোন ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসেরও দাবি করেছে।

হুতিদের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতি চালু না হওয়া পর্যন্ত তারা এ ধরনের হামলা থামাবে না।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff threatens export economy

The tariff places Bangladesh at an immediate disadvantage against regional competitors in the garment trade.

9h ago