ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে শামীমার আবেদন খারিজ
যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় গিয়ে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশি বংশদ্ভুত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের আদালত। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শামীমার করা নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছেন।
আজ বুধবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিচারকের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শামীমার আবেদন পুরোপুরি খারিজ হয়ে গেছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ২৩ বছর বয়সী শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারছেন না এবং তাকে উত্তর সিরিয়ার ক্যাম্পেই অবস্থান করতে হচ্ছে।
আইএসে যোগ দিতে শামীমা যখন ২০১৫ সালে সিরিয়ায় পাড়ি দেন তখন তার বয়স ছিল ১৫ বছর। সেখানে তিনি এক আইএস সদস্যকে বিয়ে করেন এবং তাদের ৩টি সন্তান হয়। এই সন্তানদের কেউই বেঁচে নেই।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাবেক ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন।
শামীমার আইনজীবীরা ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে শামীমা এখন রাষ্ট্রহীন। এমন সিদ্ধান্ত বেআইনি। সিদ্ধান্তটি শামীমার জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলবে, অমানবিক আচরণের শিকার হবেন তিনি।
আন্তর্জাতিক আইনে কোনো ব্যক্তির নাগরিকত্ব তখনই কেবল বৈধ উপায়ে বাতিল করা যাবে, যখন তার অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব থাকবে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি বিশেষজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল বিশেষ ইমিগ্রেশন আপিল কমিশন (এসআইএসি) এক রায়ে জানিয়েছিল, শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত বৈধ। তার মা বাংলাদেশি হওয়ায় তিনি 'বংশগতভাবে' বাংলাদেশের নাগরিক।
পরে ১৬ জুন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম কখনও বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান হলো, এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার কোনো অধিকার তার নেই। তাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ারও সুযোগ নেই।
Comments