অ্যারিজোনায় জয়ী হয়ে ৭ দোদুল্যমান রাজ্যেই আধিপত্য বিস্তার করলেন ট্রাম্প

নির্বাচনে জেতার পর স্ত্রী মেলানিয়া ও ছেলে ব্যারনের সঙ্গে ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনে জেতার পর স্ত্রী মেলানিয়া ও ছেলে ব্যারনের সঙ্গে ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস অনেকগুলো রাজ্যে ভালো করেছেন। ইলেক্টোরাল ভোটেও এই ফলের প্রতিফলন রয়েছে। কিন্তু ফলাফল নির্ধারণী সেই সাত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য, তথা যুদ্ধক্ষেত্রে বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের একটিতেও ট্রাম্পের কাছে পাত্তা পাননি বাইডেন-শিষ্য কমলা। 

আজ রোববার অ্যারিজোনায় ট্রাম্পের জয়ের সংবাদ দিয়েছে এএফপি।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা ৫ তারিখে শেষ হলেও এখনো সব অঙ্গরাজ্যের পূর্ণ ফল ঘোষণা শেষ হয়নি। আজ অ্যারিজোনার ফলের মাধ্যমে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের সবগুলোতেই জয়ী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সাত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনের মধ্যে শুরুতে নর্থ ক্যারোলাইনায় জয় নিশ্চিত করেন ট্রাম্প। এরপর জর্জিয়া ও পরবর্তীতে উইসকনসিনে জয়ী হয়ে ন্যুনতম ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।

সে মুহূর্তেই কমলার নিয়তি নির্ধারিত হয়ে যায়। এরপর যা যা হয়েছে, তা সবই কেবল আনুষ্ঠানিকতা। একে একে সকল দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের হাতির নিচে চাপা পড়তে থাকে কমলার গাধা।

সিএনএন ও এনবিসির পূর্বাভাস মতে অ্যারিজোনার ১১ ইলেক্টোরাল ভোট জিততে চলেছেন ট্রাম্প। মূলত হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর এই অঙ্গরাজ্যেও ট্রাম্প ভালো ফল করলেন।

২০২০ সালে জো বাইডেন এই অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছিলেন। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান ছিল খুবই কম।

ইলেক্টোরাল ভোটের পাশাপাশি, পপুলার ভোটেও কমলার চেয়ে প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প।

পরাজয় মেনে বক্তব্য দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। সঙ্গে তার জীবনসঙ্গী ডোগ এমহফ। ছবি: রয়টার্স
পরাজয় মেনে বক্তব্য দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। সঙ্গে তার জীবনসঙ্গী ডোগ এমহফ। ছবি: রয়টার্স

ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি ইতোমধ্যে সিনেটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছে। গভর্নর ও নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে রিপাবলিকান দল।

সব মিলিয়ে বলা যায়, রিপাবলিকান পার্টি, তথা ডোনাল্ড ট্রাম্প নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন।

এই বুধবার ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হতে পারে।

২০২১ সালে নির্বাচনে বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প তাকে হোয়াইট হাউসে ডাকেননি। যদিও এটি প্রচলিত নীতি।

সেবারের নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেননি ট্রাম্প।

বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানেও যাননি ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দেবেন বাইডেন। এ বিষয়টি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিশ্চিত করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Metro rail service resumes after 1.5 hours

The setback caused enormous suffering to commuters during the rush hour

1h ago