আসছে মীরাক্কেলিয়ানদের মীর-শ্রীলেখার ‘ভালো থাকিস’!

Sreelekha Mitra
স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘ভালো থাকিস’-এর দুই প্রযোজক এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের সঙ্গে শ্রীলেখা মিত্র। ছবি: স্টার

তিন মীরাক্কেলিয়ানের তৈরি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘ভালো থাকিস’-এ জুটি হিসেবে আসছেন জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোয়ের উপস্থাপক, রেডিও জকি মীর এবং অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

সময় টেলিভিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আগামী নভেম্বরে মুক্তি পাবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি। এটি প্রযোজনা করেছে ভারতের ডি এস প্রোডাকশন।

‘ভালো থাকিস’-এর দুই প্রধান চরিত্রে রয়েছেন মীর এবং শ্রীলেখা। কলকাতা তথা বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের মধ্যে এই ছবিটি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে ইতোমধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছে টিম ‘ভালো থাকিস’।

চলচ্চিত্রটির গল্প ও নির্দেশনায় ছিলেন শান্তনু ভট্টাচার্য। বাবিন দাস সামলিয়েছিলেন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের দায়িত্ব। আর প্রীতম ভট্টাচার্য ছিলেন প্রোডাকশন প্রধানের ভূমিকায়। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন সুমন ও প্রদ্যুৎ। চিত্রগ্রহণ করেছেন অরিজিৎ সরকার।

মীরাক্কেলের পর এই তিন মীরাক্কেলিয়ানের কাজে যুক্ত হতে পেরে নিজের ভালো লাগার কথা জানান শ্রীলেখা মিত্র। বলেন, “ভালো লাগছে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করে। বাংলাদেশের দর্শকরা এই ছবিটি দেখতে পারবেন জেনে আরও ভালো লাগছে।”

ছবির গল্প বলতে গিয়ে শ্রীলেখা বলেন, “জানেন তো আমরা হারানো মানুষগুলোকে আজও খুঁজে বেড়াই। আর এই খুঁজে বেড়ানো আমাদের শেষ হয় না। কারো ক্ষেত্রে কুঁড়ি বছর, আবার কেউ সারাজীবন ধরে অপেক্ষা করেন। এই খুঁজে ফেরার গল্পটিই নিয়েই ‘ভালো থাকিস’ চলচ্চিত্রটি।”

মীরাক্কেল-৯ এর ফাইনালিস্ট ছিলেন ‘ভালো থাকিস’–এর নির্দেশক ও গল্পকার শান্তনু ভট্টাচার্য। বললেন, “ভাবতে পারছি না শ্রীলেখা দিদি ও মীর দাদার মতো এতো বড় শিল্পী আমাদের মতো নতুনদের কাজে যুক্ত হতে পারেন। গোটা বিষয়টি স্বপ্নের মতো লাগছে।”

এই পর্বে কোয়াটার-ফাইনালিস্ট ছিলেন বাবিন দাস ও প্রীতম ভট্টাচার্য।

দ্য ডেইলি স্টারকে বাবিন দাস বলেন, “আমরা ভাবছিলাম, কিছু একটা করবো। বলতে দ্বিধা নেই মীর দা আর শ্রীলেখা দিদির কথা ভেবেই গোটা কাজটা আমরা করেছি। আর দুজন তাতে সম্মত হয়েছেন।”

সব ঠিকঠাক থাকলে সময় টেলিভিশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল আগামী ১৮ নভেম্বর ‘ভালো থাকিস’ মুক্তি পাবে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সময় টেলিভিশনের ডিজিটাল প্রধান সালাউদ্দিন সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “মীর-শ্রীলেখা বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয়। আর ‘ভালো থাকিস’ তৈরি করেছে কয়েকজন তরুণ নির্মাতা। তারা আবার মীরাক্কেলের মতো একটা জনপ্রিয় শোয়ের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে পেরেছিলেন।”

মোট ১৫ মিনিটের এই চলচ্চিত্রে যা বলা হয়েছে মানুষের মনে সেই গল্প বহু বছর মনে থাকবে বলে বিশ্বাস করেন সালাউদ্দিন সেলিম।

ডি এস প্রোডাকশনের দুই কর্ণধার দীপক শারাফ ও সঞ্জয় কাউটিয়া জানান, “শুধু ভারত-বাংলাদেশের নয় আমরা গোটা পৃথিবীর বাঙালি দর্শকদের কাছে পৌঁছতে চাই। আর সেটা করতে হলে বাংলাদেশই হচ্ছে বড় জায়গা যে দেশের নাম শুনলেই বাংলা ভাষার কথা মনে পড়বে সবার। তাই বাংলাদেশের চ্যানেলে ‘ভালো থাকিস’ আত্মপ্রকাশ করছে।”

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

2h ago