সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঐক্যফ্রন্টের চিঠি

dr kamal hossain
ড. কামাল হোসেন। স্টার ফাইল ছবি

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক করার জন্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে নবগঠিত বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালযয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে দেশকে উত্তরণ ঘটানোকে একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।

একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিত অনুভব করার কথার পাশাপাশি সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করা হয় চিঠিটিতে।

এতে বলা হয়, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। যে সকল মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করেছিলো তার অন্যতম হচ্ছে “গণতন্ত্র”।”

Letter to PM

“গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে- রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ণ ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে- এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।”

“আপনি নিশ্চয় একমত হবেন যে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন একটি মহোৎসব মনে করে। ‘এক ব্যক্তির এক ভোট’ এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত করেছেন- যা রক্ষা করা আমাদের সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, “ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায় সংগত অধিকারসমূহ আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে- তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতি কিভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়। এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিত অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।”

আরও পড়ুন:

‘দাবি মেনে নিন, নইলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে’

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago