ধর্ষণের অভিযোগে আহত হয়েছে রোনালদোর পরিবার

ronaldo
ফাইল ছবি

সাবেক মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন এ তারকা। কদিন আগেই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেছিলেন তিনি। এতে নিজের জীবনে কোন প্রভাব পড়েনি বলেই জানিয়েছিলেন। তবে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগে তার ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাবের কথা স্বীকার করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এ খেলোয়াড়।

ধর্ষণের অভিযোগে আমার পরিবার ক্ষত হয়েছে : রোনালদো

ধর্ষণের অভিযোগে ব্যক্তিগত জীবনে যেমন প্রভাব পড়েছে তেমনি সামাজিক মর্যাদাতেই আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন রোনালদো, ‘অবশ্যই এ গল্প আমার জীবনে হস্তক্ষেপ করেছে। আমার একজন পার্টনার আছে, চার সন্তান আছে, মা, ভাই, বোন এবং একটি পরিবার যাদের সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক খুব ভালো। আর অবশ্যই আমার সামাজিক মর্যাদায় যেটা অনেকেই আদর্শ হিসেবে মানে, সেখানে আঘাত লেগেছে।’

আর এ কারণে তার বোন এবং মা খুবই ক্রুদ্ধ হয়ে আছেন বলে জানান রোনালদো, ‘আমি সব সময় আমার মাকে সব কিছু খুলে বলি। আমার ছেলে ক্রিস্তিয়ানো জুনিয়র অনেক ছোট এসব বোঝার ক্ষেত্রে। আমি আমার মা এবং বোনের জন্য খুবই দুঃখিত বোধ করছি। তারা এ খবরে স্তব্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক রাগান্বিত হয়ে আছে।’

রোনালদোর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ

ঘটনাটি ২০০৯ সালের ১২ জুনে। মায়োগরা জানিয়েছেন, এক নৈশ ক্লাবে দেখা হওয়ার আলাপের পর নাম্বার বদল হয় দুই জনের। পর দিন রাতে মায়োরগাকে পামস ক্যাসিনো রিসোর্টে নিমন্ত্রণ জানান রোনালদো। সেখানেই তাকে যৌন হয়রানির পর একপর্যায়ে ধর্ষণ করেন এ পর্তুগিজ তারকা। ধর্ষণের পর অবশ্য ক্ষমা চেয়েছিলেন রোনালদো।পরদিনই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মায়োরগা। পরে তার আইনজীবী ও রোনালদোর মধ্যে সমঝোতা হয়। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেন রোনালদো।

তবে এ তথ্য কখনো প্রকাশ করা যাবে না এমনই চুক্তি হয়েছিল দুই জনের মধ্যে। তবে গত বছর হ্যাশট্যাগ ‘মি টু’আন্দোলনে নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মায়োরগা। এ নিয়ে ‘ডার স্পেইগেল গত বছরই সংবাদ প্রকাশ করেছিল। তবে মায়োরগার অনুমতি না মেলায় এ নিয়ে বেশি দূর এগোয়নি সংবাদমাধ্যমটি। তবে এবার ফলাও করে ছাপানো হয়েছে সে ঘটনা।

কে এই ক্যাথরিন মায়োরগা?

৩৪ বছর বয়সী ক্যাথরিন মায়োরগা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল। ২০০৯ সালে ‘রেইন’নাইটক্লাবে একজন প্রোমোটার হিসেবে কাজ করতেন কালো চুল ও সবুজ চোখের এ সুন্দরী। লা ভেগাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে যাওয়ার পর রোনালদোর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে অবশ্য সে চাকুরী বাদ দিয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সম্প্রতি সে চাকুরীও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

10h ago