ছন্দে থাকলে রান করা মাথায় সাজানো থাকে: ইমরুল

ওয়ানডেতে ইমরুল কায়েস রানের ফোয়ারা বইয়ে চলেছেন। তাকে বাদ দিয়ে দল এখন ভাবাই যায় না। অথচ টেস্টে ঠিক বিপরীত অবস্থা। চরম রান খরায় থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে। তামিম ইকবাল না থাকায় এবার একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে অবশ্য সংশয় নেই। এই সুযোগে তাই দীর্ঘ পরিসরে পুরনো ছন্দে ফেরার আশা তার।
Imrul Kayes
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়ানডেতে ইমরুল কায়েস রানের ফোয়ারা বইয়ে চলেছেন। তাকে বাদ দিয়ে দল এখন ভাবাই যায় না। অথচ টেস্টে ঠিক বিপরীত অবস্থা। চরম রান খরায় থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে। তামিম ইকবাল না থাকায় এবার একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে অবশ্য সংশয় নেই। এই সুযোগে তাই দীর্ঘ পরিসরে পুরনো ছন্দে ফেরার আশা তার।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একটি অসমান পিচে ব্যাটিং অনুশীলন করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার।আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, খালেদ আহমেদদের লাফানো বলে বেশ কয়েকবার বেগ পেতে দেখা গেল মুমিনুল হককে। কিন্তু ইমরুল কায়েস ওসব বলও সামলেছেন অনায়াসে। টেস্টের রান খরা থেকে বেরুনোর আভাস দেখে গেছে শরীরী ভাষায়।   

ইমরুল টেস্টে সর্বশেষ ফিফটি করেছিলেন ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর। সময়ের হিসেবে তা ঠিক দু’বছর। এই সময় খেলা মোট ১৬ ইনিংসে ৪০ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন আর মাত্র একবার। ইনিংস প্রতি রান করেছেন ১৮.৯৩ করে। যেকোনো টেস্ট ব্যাটসম্যানের জন্যই পরিসংখ্যানটা বিব্রতকর।

আসি-যাই অবস্থায় ছিলেন ওয়ানডেতেও। এশিয়া কাপ দিয়ে ফেরার পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিন ম্যাচ সিরিজে রেকর্ড ৩৪০ রান করার পর নিজেকে চিনিয়েছেন ভিন্নভাবে। খেলার ধরন, মেজাজেও দেখা মিলিছে ভিন্ন ইমরুলের।

ওয়ানডেতে যে পথ দিয়ে আলো এসেছে, টেস্টেও তা হবে এমনটা নয়। টেস্ট খেলা হবে ভিন্ন বলে, ভিন্ন পরিস্থিতিতে।  তবে সংস্করণ যাইহোক, রানে আছেন বলেই সংশয়ের চোরাবালি থেকে বেরুনোর আশা দেখছেন তিনি, ‘সংস্করণ ভিন্ন। যদি রানে থাকেন, কীভাবে রান করবেন সেটা মাথায় সাজানো থাকে। এটা ওয়ানডে, টেস্ট বা টি-টোয়েন্ট হোক। জিনিসটাই হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। সবাই জানি, যখন রানে থাকি না তখন মনে কিছুটা সন্দেহ কাজ করে। চেষ্টা করছি যে আত্মবিশ্বাস আছে, টেস্টে সেটা কাজে লাগাতে।’

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লম্বা সময় ধরে অনুশীলন শেষে বললেন কেবল মধুর স্মৃতি ধরে রেখেই এগুতে চাইছেন তিনি, ‘গত একবছর (আসলে দুই বছর) টেস্টে ভালো খেলিনি। আগে ভালো খেলেছি সেটা তো মাথায় আছে। একটা সময় মানুষের খারাপ যায়। ওই জিনিসটা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। একটা সময় বড় দলের বিপক্ষে রান করেছি। জানি ওই জায়গায় কীভাবে সামলাতে হয়। চেষ্টা করব ভালোভাবে টিকে যাওয়ার।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago