সৌদি আরবের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই খাশোগি হত্যা: এরদোয়ান
সৌদি আরবের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের’ নির্দেশেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ‘ক্রীড়নকদের’ মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
এরদোয়ান বলেন, তিনি ‘এক সেকেন্ডের’ জন্যও বিশ্বাস করতে চান না যে, বাদশাহ সালমান খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকেন তিনি।
তবে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গত সপ্তাহে এরদোয়ানের এক উপদেষ্টা বলেন, যুবরাজ সালমানের হাতে রক্ত লেগে আছে। এটিই হত্যাকাণ্ডে সৌদি ‘ডি-ফ্যাক্টো’ শাসকের জড়িত থাকার বিষয়ে এরদোয়ান ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে আসা সবচেয়ে কঠোর মন্তব্য।
ওয়াশিংটন পোস্টকে এরদোয়ান আরও বলেন, ‘ন্যাটোভুক্ত অঞ্চলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানোর সাহস কারোরই থাকা উচিত নয়। কেউ যদি এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করতে চায়, তাহলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন খাশোগি। তবে ওইদিনই খাশোগি কনসুলেট ভবন থেকে বের হয়ে গেছেন বলে শুরুতেই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে সৌদি আরব। কিন্তু তুরস্কের তীব্র আপত্তির পর তারা জানায় যে, কনসুলেটের ভেতর ভুল পথে পরিচালিত একটি জিজ্ঞাসাবাদে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সৌদির এই ব্যাখ্যাটিও ধোপে টেকেনি। অবশেষে গত সপ্তাহে রাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউটর সৌদ আল মোজেব বলেন, ঘটনাটি ছিল পূর্বনির্ধারিত।
এদিকে, তুরস্কের হুরিয়াত ডেইলি নিউজ জানায়, দেশটির এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-কে জানিয়েছেন, নিহত সাংবাদিক জামাল খাশোগির দেহ ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটের ভেতরেই এসিড দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
Comments